ঢাকাশুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

ইমামের পেছনে সুরা কিরাত কী পড়তে হবে?

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

বৃহস্পতিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ , ০৮:১৫ পিএম


loading/img

আরটিভির সরাসরি ইসলাম নিয়ে প্রশ্নোত্তরমূলক বিশেষ অনুষ্ঠান ‘শরিফ মেটাল প্রশ্ন করুন।’ এ অনুষ্ঠানে কোরআন ও হাদিসের আলোকে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়। এবারের পর্বে উত্তর দিয়েছেন মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান।

বিজ্ঞাপন

প্রশ্নঃ জামাতে নামাজ পড়ার সময় ইমামের সাথে সুরা ফাতেহা কিংবা অন্য সুরা পড়তে হবে? নাকি চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলেই হবে?

উত্তরঃ সুরা ফাতেহা পড়ার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি এবং হাদিস শরিফে আছে, সুরা ফাতেহা যদি কেউ কোনো রাকায়াতে না পড়ে তাহলে তার নামাজ হবে না। সেই প্রেক্ষিতে প্রতি রাকায়াতেই সুরা ফাতেহা পড়ার বিধান আছে। আরেকটা হাদিসে আছে, যেকোনো কিরাত যদি কেউ না পড়ে তাহলে তার নামাজ হবে না। মুসলিম উম্মাহ’র মধ্যে দুটি মত সৃষ্টি হয়েছে। একদল বলেছেন যে, যদি কেউ সুরা ফাতেহা কোনো রাকায়াতে বাদ দেয়, এমনকি ঈমামের পেছনেও বাদ দেয়, ইমাম সাহেব যখন শেষের দুই রাকাতে আস্তে আস্তে সুরা ফাতেহা পড়েন তখনও যদি সুরা ফাতেহা পড়া বাদ দেয় তার নামাজ হবে না।

বিজ্ঞাপন

আরেকটা মত আছে ইমাম আবু হানিফা রা. বলেছেন, যদি কেউ ইমামের পেছনে নামাজ পড়ে তাহলে তার কিরাত পড়া লাগবে না, সুরা ফাতিহাও পড়া লাগবে না। এ দুটো মতই রয়েছে। আপনি যদি বলেন হাদিস মোতাবেক কোনটা? আমি বলবো দুটোই হাদিস মোতাবেক। দুটোর যেকোন একটা আমল করলেই হবে, তবে কোরআন শরিফের মধ্যে বলা আছে, যখন কোরআন তেলওয়াত হবে তখন তোমরা চুপ থাকবে এবং কান লাগিয়ে শুনবে। সেক্ষেত্রে আপনি ফাতেহা পড়তে পড়তে ইমামের পড়ায় যদি ব্যাঘাত হয় তাহলে অবশ্যই আপনি সুরা ফাতেহা পড়বেন না।

কেএইচ/এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |