ঢাকাশনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

মঙ্গলগ্রহে মিললো তিনটি হ্রদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২:১০ পিএম


loading/img
সংগৃহীত

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা মঙ্গলগ্রহে পানির উত্স আবিষ্কার করেছেন। বিজ্ঞানীরা মঙ্গলগ্রহের মাটির নিচে তিনটি হ্রদ খুঁজে পেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

যদিও দুই বছর আগেও মঙ্গলগ্রহের দক্ষিণ মেরুতে এক বিরাট নোনা হ্রদের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। এই হ্রদটি বরফের নিচে চাপা পড়ে আছে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে মঙ্গলে বসবাস করতে হলে এই পানি কাজে লাগানো যেতে পারে।

২০১৮ সালে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি-র স্পেসক্র্যাফট মার্স এক্সপ্রেস এমন একটি জায়গা আবিষ্কার করে যেখানে বরফের নিচে লবণাক্ত জলের হ্রদ রয়েছে বলে দাবি করা হয়। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত, এই হ্রদের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে স্যাটেলাইট প্রায় ২৯ বার ওই এলাকা দিয়ে ঘুরেছে এবং ছবি তুলেছে। এর থেকে জানা গেছে, ওই এলাকায় এমন আরও হ্রদ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সায়েন্স ম্যাগাজিন নেচার অ্যাস্ট্রোনমিতে প্রকাশিত হয়েছে, মঙ্গলগ্রহে পানি তরল অবস্থায় পাওয়া যাওয়ার পুরোপুরি সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৮ সালে যে হ্রদটি মঙ্গলগ্রহের দক্ষিণে আবিষ্কার হয়, সেটি বরফ দিয়ে আচ্ছাদিত। এটি প্রায় ২০ কিলোমিটার প্রশস্ত। এখন পর্যন্ত মঙ্গলগ্রহে পাওয়া সবচেয়ে বৃহত্তম হ্রদ এটিই।

রোম বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী আলাইনা পেটিনেল্লি বলেছেন, তারা দুই বছর আগে আবিষ্কৃত হ্রদের চারপাশে আরও তিনটি হ্রদ সন্ধান পেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলগ্রহে তরল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আগে মঙ্গলগ্রহকে একটি পানিহীন গ্রহ ভাবা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই ভুল ধীরে ধীরে ভাঙছে। অবশ্য বিজ্ঞানীরা বহুদিন আগে থেকেই জানিয়েছিলেন, মঙ্গলগ্রহে একসময় প্রচুর পরিমাণে পানি প্রবাহিত হতো।

বিজ্ঞাপন

তিন বিলিয়ন বছর আগে জলবায়ুতে বড় ধরনের পরিবর্তনের কারণে মঙ্গলগ্রহের সব রূপ পরিবর্তিত হয়েছিল বলে মত বিজ্ঞানীদের। এর আগে ২০১২ সালে নাসা কিউরিওসিটি শিলায় তিন বিলিয়ন বছরের পুরনো কার্বনিক অণু খুঁজে পায়, যা দেখে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্ত উপনীত হন যে, এই গ্রহে অবশ্যই জীবনের অস্তিত্ব ছিল।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |