১২ মে’র মধ্যে দেশের সব চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আওতায় আসবে: তথ্যমন্ত্রী
আগামী ১২ মে’র মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সব টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু করবে। বললেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার সচিবালয়ে বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অভ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১২ মে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের এক বছর পূর্তি হবে। ১২ মে নাগাদ বাংলাদেশের সমস্ত টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আওতায় আসবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষ টেলিভিশনগুলোকে তিন মাস বিনামূল্যে সেবা দেবে। ১২ মে নাগাদ বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি সকল টিভি’র ডাটা অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে গাজীপুরে সজীব ওয়াজেদ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রে নিয়ে যাবে, সেখান থেকে আপলিঙ্ক এবং ডাউনলিঙ্ক করবে, সেজন্য বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষ সবার সঙ্গে আলোচনা করে টেলিভিশনগুলো কী দরে স্যাটেলাইট ব্যবহার করবে তা নির্ধারণ করবে এবং বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি বিটিভির মাধ্যমে ক্যাবল অপারেটরদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক ‘এল এন বি (লো নয়েজ ব্লক)’ যন্ত্র সরবরাহ করবে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কেবল অপারেটরদের বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ক্রমানুসারে প্রথম দিকে রাখার কথা। আজকেও পুনরায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা সব ক্যাবল অপারেটরদের স্মরণ করিয়ে দেবো যে, বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে তারা প্রথমে রাখবে। প্রথমে সরকারি চ্যানেল, এরপর সম্প্রচারের তারিখ অনুযায়ী বেসরকারি চ্যানেলগুলো থাকবে, পরে বিদেশি চ্যানেলগুলো থাকবে।
হাসান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা ইতোমধ্যে ক্যাবল অপারেটরদের স্মরণ করিয়েছি। আবার নোটিশ জারি করবো। ১ এপ্রিলের পর থেকে কেউ যদি এই আইন ভঙ্গ করে, সরকারের এই নির্দেশনা পালন না করে, তাহলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থায় যাব।
আরো পড়ুন:
এমকে
মন্তব্য করুন