সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানার পাশে বোমা বিস্ফোরণে আহত জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম মারা গেছেন।
শনিবার রাতে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ নিয়ে এ ঘটনায় ৬ জন মারা গেলেন।
শনিবার সন্ধ্যায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এর আগে রাত পৌনে ২টার দিকে আহত ছাত্রলীগ নেতা জান্নাতুল ফাহিম মারা যান।
এদের মধ্যে ৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন পুলিশের পরিদর্শক চৌধুরী মো. কয়সার, জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা জান্নাতুল ফাহিম, কলেজ ছাত্র ওয়াহিদুল ইসলাম অপু ও নগরীর দাঁড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম (৩৮)। নিহত অপরজনের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর।
এছাড়াও এ ঘটনায় আরো ৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাদের ওসমানী মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক দেবপদ রায় বলেন, নিহতদের সবার শরীরের বিভিন্নস্থানে স্প্লিন্টারের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সিলেটের শিববাড়ি এলাকায় ‘আতিয়া মহল’ নামে পাঁচতলা একটি বাড়ির নিচতলায় জঙ্গিরা অবস্থান করছে বলে খবর পায় পুলিশ। জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনার জন্য শুক্রবার বিকেলে সোয়াট টিম ও সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শনিবার ভোরে আতিয়া মহলে অভিযান শুরু করে সোয়াট ও সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো বাহিনী।
বৃহস্পতিবার জঙ্গি সন্দেহে আতিয়া মহল ঘেরাও করার পর থেকে ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা আটকা পড়েন। মাইকে ভেতরে থাকা জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলে পুলিশ। তবে জঙ্গিরা তাতে সাড়া দেয়নি।
এসএস