ফেসবুক পোস্টে যে বার্তা দিলেন সারজিস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর মুন্সীগঞ্জ জেলা দিয়ে শুরু হবে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম এ তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘দেখা হচ্ছে মুন্সীগঞ্জ।’
রোববার থেকে শুরু হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর। যেখানে আমাদের একটি সমন্বয়ক টিম প্রত্যেকটি জেলার অভ্যুত্থান ঘটানো ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করবে।’
পোস্টে তিনি জানান, ঢাকা বিভাগীয় সফরের প্রথম জেলা হিসেবে রোববার মুন্সীগঞ্জে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। জেলার সরকারি হরগঙ্গা কলেজ মাঠে বিকেল ৩টায় শুরু হবে এ সভা।
মন্তব্য করুন
আইন উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে যা বললেন ফরহাদ মজহার
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কোনো দলই বিপ্লবী সরকারের কথা না বলায় সাংবিধানিক সরকার গঠন করা হয়েছে। এটা ভুল হয়ে থাকলে সেই পরিস্থিতিতে আমাদের সবার ভুল ছিল বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে বাংলা একাডেমিতে ব্রেইন ও আদর্শ প্রকাশনী আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা, আসন্ন চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুলের ওই বক্তব্যের জবাবে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সোশ্যাল মিডিয়ায় ৯টি পয়েন্ট যুক্ত করে দীর্ঘ পোস্ট করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো—
১. আসিফ নজরুল দাবি করেছেন, “সাংবিধানিক পথে যাত্রা ভুল হলে সেটা এই আন্দোলনে থাকা সবার ভুল”। না, মোটেও না। সেটা সবার ভুল হতে পারে না। সেটা একান্তই আসিফ নজরুলের ভুল, কিম্বা রাজনৈতিক দল ও সেনাপ্রধানসহ যারা গণঅভ্যুত্থানকে ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীনে ঢুকিয়েছে তাদের সকলেরই ভুল।
২. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরাও উপস্থিত ছিলেন উল্লেখ করে, আসিফ নজরুল দাবি করেছেন, ‘পুরো আলোচনা প্রক্রিয়ায় কেউ তো তখন বলেন নাই যে আমরা কেন শপথ নেব, সাংবিধানিক পথে যাব, চলেন বিপ্লবী সরকার গঠন করি?’। যদি তাই হয় তাহলে আসিফ নজরুল সেই ক্ষেত্রে চুপ করে ছিলেন কেন? কেন বলেননি এটা ‘বিপ্লবী সরকার’ গঠনের মামলা নয় একদমই, এটা হচ্ছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শহীদদের রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা (Popular বা Peoples’ Sovereignty) প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপ দেওয়ার দায়। অর্থাৎ বাংলাদেশের জন্য নতুন গণতান্ত্রিক গঠনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অভিপ্রায়কে ধারণ এবং তাকে গাঠনিক রূপ দেবার কর্তব্য। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের যে গাঠনিক ক্ষমতা (Constituent Power) ঐতিহাসিক ভাবে তৈরি ও হাজির হয়েছে তাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠন করাই আমাদের কাজ।
আসিফ নজরুল কি তখন ঘুমিয়ে ছিলেন? তিনি সেনাপ্রধান ওয়াকারুজ্জামানকে বিভ্রান্ত ও ভুল পথে পরিচালিত করেছিলেন কেন? পুরা সেনাবাহিনী তো তখন জনগণের পক্ষে ছিল। এখন তিনি নিজের দায় অস্বীকার করে দোষ অন্যদের ঘাড়ে চাপাতে চান কেন? কেন তার অজ্ঞতা, মূর্খতা এবং দায়িত্বহীনতার দায় এখন সেনাপ্রধান নেবেন? গণ সার্বভৌমত্বের রাজনৈতিক ও আইনি যুক্তি তো সেনা প্রধানের জানার কথা না। সেটা আসিফ নজরুলেরই জানার কথা। কোন বিদেশি শক্তিরও চাপ ছিল না।
৩. তাহলে দেখা যাচ্ছে স্রেফ ক্ষমতার লোভে আসিফ নজরুল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীনে গণঅভ্যুত্থানকে বিসর্জন দিয়ে সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তি হওয়ার জন্যই ভুল পথে বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছেন। এই দায় একান্তই আসিফ নজরুলের। এই দায় আর কারো না।
এখন আসিফ নজরুল বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরাও উপস্থিত ছিলেন। তার মানে তিনি এখন তাদেরকেও তার দোষের দায়ভার চাপিয়ে দিচ্ছেন। দাবি করছেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থার বা সংবিধানের অধীনে সেনা সমর্থিত উপদেষ্টা সরকার গঠনে তাদেরও সায় ছিল। তাই কি আসলে? মাহফুজ, নাহিদ, আসিফ? কিন্তু কেউ না বলুক, তিনি শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধান বাতিল করবার কথা বললেন না কেন? কেন তিনি গণ সার্বভৌমত্বের (Popular Sovereignty) প্রশ্ন তুললেন না? বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধানও যে ধারণা মানে বা অন্তত স্বীকার করে? এখন আবার জনগণকে বিভ্রান্ত করারা জন্য আসিফ নজরুল ‘বিপ্লব বিপ্লব’ বকোয়াজি শুরু করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন বটে, কিন্তু আমরা তো বিভ্রান্তি এড়াবার জন্য একবারও বিপ্লবের কথা বলিনি? তার কাছ থেকেই আইন ও রাজনীতির সম্বন্ধ বিচার বা পর্যালোচনা সবাই আশা করেছিল। তিনি আমাদের আশা ভঙ্গ করেছেন।
৪. শুধু তাই নয়, কেউ কেউ বলেন কেন শহীদ মিনারে শপথ নিলাম না, কেন বিপ্লবী সরকার হলো না, কেন সাংবিধানিক পথে গেলাম—এসব উল্লেখ করে আসিফ নজরুল কটাক্ষ করে বলেন, ‘এখন আপনি দেখবেন, কোনো কোনো মানুষ, তারা পৃথিবীর সবকিছু জানেন। তাদের একজন সম্পর্কে মনির হায়দার বললেন, আসিফ ভাই, মনে হয় তাকে “জাতির পিতা” না বানিয়ে দেওয়া পর্যন্ত থামবে না। অথবা তাকে “জাতির পিতা” বানিয়ে দিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’ যেখানে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটের সময় পরস্পরকে বোঝা এবং চিন্তার পার্থক্য কাটিয়ে তোলা প্রধান কাজ, তখন এই ধরনের অর্বাচীন কটাক্ষ এবং তামাশা আরও বিভেদ সৃষ্টি করে। রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য এ ধরনের অহংকারি মন্তব্য ক্ষতিকর।
৫. গণতন্ত্রের অভিযাত্রা: আসন্ন চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক আলোচনা সভায় আইন উপদেষ্টা ভুলের দায় থেকে বাঁচবার জন্য এ ধরনের মিথ্যা সাফাই গেয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আদর্শ ও গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান ব্রেইন যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। চুপ্পুর অপসারণ এবং হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধান বাতিলের দাবি জোরদার হয়ে ওঠায় এটা ছিল আইন ও তথাকথিত সংবিধানের অজুহাতে যারা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থার পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে চায় এবং বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট শক্তি ও রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখতে চায় নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে সাফাই গাইবার অনুষ্ঠান।
৬. ‘বিপ্লব’ কথাটা সাধারণত বলশেভিক কিম্বা চিনা বিপ্লবের ‘পারাডাইম’ হিসাবে ব্যবহার হয়। বিভ্রান্তি এড়াবার জন্য ‘বিপ্লব’ বর্গটি এড়ানো ভালো। তাছাড়া জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের জনগণ বলশেভিক বা চিনা ধাঁচের ‘বিপ্লব’ করেনি। গণঅভ্যুত্থানের সেটা উদ্দেশ্যও ছিল না। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধান ও ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা বাতিল করে বাংলাদেশের জনগণ চেয়েছে নিজেদের রাজনৈতিক ভাবে নতুন ভাবে ‘গঠন’ (Constitute) করা–অর্থাৎ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ। জনগণ নিজেরা নিজেদের জন্য একটি গণতান্ত্রিক গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করবে যা তাদের ‘অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তি’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে—এটাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সারকথা। একেই বলা হয় গণ সার্বভৌমত্ব (Popular Sovereignty) বা জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা। এমনকি বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং ‘প্রজাতন্ত্র’ অধ্যায়ও গণসার্বভৌমত্ব স্বীকার করে। দেখুন, প্রস্তাবনা এবং অনুচ্ছেদ ৭(২)। স্বীকার করলেও মূল সংবিধান গণ সার্বভৌমত্বের বিরোধী অতএব স্ববিরোধী। একে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া ছাড়া গত্যন্তর নাই। এই সকল বিষয় বিবেচনার দাবি না করে আসিফ নজরুল কেন সেনা সমর্থিত উপদেষ্টা সরকার কায়েম করে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রই কায়েম করলেন?
৭. সেনাপ্রধানের সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় রাজনৈতিক দল উপস্থিত ছিল। থাকতেই পারে। কিন্তু সেনাপ্রধানকে আইনি পরামর্শ আসিফ নজরুলই দিয়েছেন। তিনি তারই ফলশ্রুতিতে আইন উপদেষ্টাও হয়েছেন। সাংবিধানিক পথে যাত্রা ভুল হলে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে সেই ভুল আবার এখন শোধরাতে পারি। সেই পথ এখনো খোলা রয়েছে। কিন্তু আসিফ নজরুলের ফাঁপা ও অন্যায় দাবি আমাদের পরস্পরকে বোঝার এবং বাংলাদেশের বর্তমান সংকট কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে না। বরং আরও জটিল হবে। তিনি বিভেদ ও বিপদ আরও বাড়িয়ে তুলছেন।
৮. আসিফ নজরুলের আলোচনায় সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানের প্রতি অকারণ কটাক্ষ রয়েছে। সেনাবাহিনী তাকে ডাকলেই মেরে ফেলবে এই বক্তব্য সেনাবাহিনী—বিশেষত সেনাপ্রধানের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করে না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে অবশ্যই নাগরিক হিসাবে সৈনিকদেরও ভূমিকা আছে এবং থাকবে। সাধারণ সৈনিকেরা গুলি করতে অস্বীকার করায় গণঅভ্যুত্থানের তীব্রতার মুখে শেখ হাসিনা দিল্লিতে পালাতে বাধ্য হয়েছে। জাতীয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত শুধু রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত হতে পারে না। রাজনৈতিক দল জনগণের খণ্ড খণ্ড অংশের প্রতিনিধি। আমাদের অবশ্যই রাজনৈতিক দলের বাইরে নাগরিক হিসাবে শ্রমিক, কৃষক, মেহনতজীবী শ্রেণিসহ সমগ্র জনগণের রাজনৈতিক অভিপ্রায়ের কথা মনে রাখতে হবে।। জনগণের কাতারে সৈনিকেরাও আছেন।
৯. বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে আসিফ নজরুলের ফাঁপা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বলতে হয় এই দায় আসলে একান্তই তার একার। এত আত্মত্যাগ ও রক্তপাতের পর আমরা পেলাম সেনা সমর্থিত উপদেষ্টা সরকার? কেন? এর ব্যাখ্যা আসিফ নজরুল কীভাবে দেবেন? এটাই যে হচ্ছে সেটা আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি। তিনি কর্ণপাত করেননি।
আসিফ নজরুলের এই সাফাই আমরা তাই প্রত্যখ্যান করতে বাধ্য হচ্ছি। গণঅভ্যুত্থানকে যারা শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীনস্থ করেছেন এবং দাবি করছেন ‘সাংবিধানিক ভাবে যাওয়া দোষের ব্যাপার নয়’, তারা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছেন। তারা শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়োজিত ফ্যাসিস্ট প্রেসিডেন্ট চুপ্পুর অধীনে উপদেষ্টাদের শপথ নিতে বাধ্য করেছে, সেই ভুল হতেই পারে। আমরা মেনে নিয়েছি। কারণ শোধরাবার পথ বন্ধ হয়ে যায়নি। কিন্তু নির্লজ্জ সাফাই গাওয়ার কোনো যুক্তি নাই। বলা উচিত ছিল, আমরা ভুল করেছি, কিন্তু শোধরাবার সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। আসুন সবাই মিলে শোধরাই এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন করি। সংশোধনের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ রাখুন।
আসিফ নজরুল, প্লিজ, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখাই এখনকার কাজ। নিজের দোষ ঢাকবার চেষ্টা করবেন না। ভুল আমরা যে কেউ করতেই পারি, কিন্তু যখন নিজের দায় অস্বীকার করেন, তখন সেটা মেনে নেওয়া যায় না।
আরটিভি/এমএ/এআর
কমলাপুর স্টেশনের স্ক্রিনে লেখা ‘আ.লীগ জিন্দাবাদ’, যা জানা গেল
সামাজিক মাধ্যমে কমলাপুর রেলস্টেশনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে স্টেশনের বহির্গমন পথের ডিজিটাল স্ক্রিনে ‘আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ’ লেখা স্লোগান প্রচার করা হয়েছে; যা রীতিমতো সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
জানা গেছে, ওই স্ক্রিনে সাধারণত ‘ধন্যবাদ’, ‘স্বাগতম’ বা যাত্রীদের সচেতনতামূলক বিভিন্ন বাণী প্রচারিত হয়। তবে শনিবার ভোর ৫টা ৫৭ মিনিট থেকে সকাল ৯টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত ‘আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ’ লেখাটি স্ক্রিনে প্রদর্শিত হয়। এরপর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত হওয়ার পর স্ক্রিন দুটি বন্ধ করে দেয়।
ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে পলাশ মাহবুব নামের একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ঠিকমতো ট্রেন চলার নাম নাই। কিন্তু এসব ঠিকঠাক চলছে।’
এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের খোঁজ চলছে। দ্রুত তাদেরকে সন্ধান করে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরটিভি/এসএপি-টি
একটি প্রমিনেন্ট দলের সায় না পাওয়ায় স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি: আসিফ
জাতীয় সরকার গঠনের স্বপ্ন গণঅভ্যুত্থানের নেতারাই দেখিয়েছিল দাবি করে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রমিনেন্ট দলের সায় না পাওয়ায় সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আসিফের ওই পোস্টে বেশির ভাগ কমেন্টকারীই ওই প্রমিনেন্ট দল বলতে বিএনপিকে চিহ্নিত করছেন।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনে এবং ফ্যাসিবাদের সর্বশেষ আইকনকে সরানোর ক্ষেত্রে দেশের প্রমিনেন্ট দলের কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি বলে ওই পোস্টে উল্লেখ করেন আসিফ মাহমুদ।
পোস্টে তিনি লিখেন, ‘৮ দিবস বাতিল কিংবা ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার মতো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও এই উপদেষ্টা পরিষদ অকপটে নিয়েছে, যাদেরকে অনেকেই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করে না বলে অপবাদ দিচ্ছেন। অন্যদিকে প্রমিনেন্ট রাজনৈতিক দলকেও আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেসি করতে দেখা গেছে, ফ্যাসিবাদের সর্বশেষ আইকনকে সরানোর ক্ষেত্রেও অনীহা দেখা গেছে।’
উপদেষ্টা লিখেন, ‘আমরা রক্ত মারিয়ে সংলাপ কিংবা সমঝোতায় যাওয়ার মতো ধৃষ্টতা আগেও দেখাইনি, ভবিষ্যতেও দেখাব না। এক পা এগিয়ে দুই পা পেছানোর মতো আপসকামী মনোভাব রাখলে আজকের বাংলাদেশ পেতাম না। ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত ক্ষোভ থাকতে পারে। সেটা নিয়ে আলোচনা হোক, পাবলিক প্ল্যাটফর্মে কাউকে বিব্রত করা কিংবা তা করতে গিয়ে নিজেকে খেলো করা দুঃখজনক।’
ফেসবুক পোস্টে আসিফ আরও লিখেন, ‘৫ আগস্ট প্রথম প্রহরে অভ্যুত্থানের পরের রোডম্যাপ হিসেবে পাঁচটি পয়েন্ট ঘোষণা করা হয়েছিল এই অ্যাকাউন্ট (ফেসবুক অ্যাকাউন্ট) থেকেই। সেখানেই অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। সবাইকে নিয়ে সরকার গঠনের প্রথম অভিপ্রায় গণঅভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দই দেখিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রমিনেন্ট দলের সায় না পাওয়ায় সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি।’
আরটিভি/এসএইচএম-টি
ক্লাসরুমে লাঠি হাতে রহস্যজনক যুবক ভাইরাল, যা জানা গেল
পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের লেকচার রুমে হাতে লাঠি ও মাথায় কালো কাপড় পরা এক ব্যক্তি ঢুকে পড়েন।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে ওই ব্যক্তি লাঠি হাতে নিয়ে ক্লাসরুমে ঘুরছিলেন। তাকে দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে যান শিক্ষার্থীরা।
এরই মধ্যে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি ক্লাস রুমে ঢুকে লাঠি উঠিয়ে চিৎকার করে কী যেন বলছেন। তার ভয়ে ছাত্রীরা ভয়ে চিৎকার করে ক্লাসরুম থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওই ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে দেখা যায়। তবে তাকে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মাজহারুল ইসলাম জানান, রোববার সকালে লেকচার থিয়েটারের দোতলায় ওই যুবক হাতে লাঠি নিয়ে ঢুকেছিল। তাকে মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে মনে হয়েছে। পুলিশ ও র্যাবকে তারা জানিয়েছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পৌঁছানোর আগেই ওই যুবক কলেজে থেকে চলে যায়। তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার প্রশ্ন তাই সোমবার পুলিশ কলেজে এসে ঘটনা বিশদভাবে তদন্ত করবে।
তিনি আরও জানান, অতীতে কখনও তার এমন ঘটনার সম্মুখীন হননি। আর ওই যুবক ক্লাসরুমে অস্পষ্টভাবে কী বলছিল তা বোঝা যায়নি।
ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ পাঠানো হলেও তাকে ধরা যায়নি বলে জানান কোতয়ালী থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
আরটিভি/এসএপি-টি
যে কারণে শিক্ষা উপদেষ্টার পা জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন দুই শিক্ষক
শূন্য পদে বদলির সুযোগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন চেয়ে অবেগতাড়িত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে শিক্ষা উপদেষ্টার পা জড়িয়ে ধরেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে ঘটা এই ঘটনার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা যায়, এদিন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে দেখা করতে যান এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের একটি দল। তাদের দাবি, শূন্যপদের বিপরীতে বদলি। এক পর্যায়ে ওই দলের দুজন শিক্ষক ‘এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ’ এর সাধারণ সম্পাদক মো সাকিবুল ইসলাম ও রাজশাহী জেলার সমন্বয়ক শরিফুল ইসলাম শিক্ষা উপদেষ্টার পায়ে পড়ে কাঁদতে শুরু করেন। এসময় শিক্ষা উপদেষ্টা তাদেরকে তোলার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক মো. সাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এটা ইচ্ছাকৃত করিনি, আবেগের বশবর্তী হয়ে করে ফেলেছি। কারণ, গত ৭ তারিখে আমার দাদি শাশুড়ি মারা গেছে কিন্তু আমি সেখানে যেতে পারিনি। কারণ, আমি চাঁদপুরে কর্মরত। মৃত্যু সংবাদ পেয়েছি সকাল ৮টায় আর দাফন হয়েছে দুপুর আড়াইটায়। আমার পক্ষে ওই সময়ের মধ্যে রাজশাহীতে যাওয়া সম্ভব ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার আত্মীয়-স্বজন মারা গেলেও আমি দেখতে যেতে পারি না। আমার মতো অসংখ্য শিক্ষক আছে যাদের জীবন দুর্বিষহ।’
ওই সময় কী ঘটেছিল? জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি ওটা করে ফেললে উপদেষ্টা মহোদয় বলেন, ‘ওঠো ওঠো বাবা, তোমাদের কাজ তো করে দিয়েছি, তোমাদের কাজ তো হচ্ছে।’ এরপর শিক্ষা উপদেষ্টা নিজের ব্যক্তিগত সহকারীর সঙ্গে তাদেরকে পাঠিয়ে দেন বিস্তারিত কথা বলার জন্য। সেখানে কর্মকর্তারা শিক্ষকদের আশ্বস্ত করেন যে, তাদের কাজ দ্রুত হয়ে যাবে।
এনটিআরসিএর তথ্যমতে, ২০১৬ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করে আসছে। প্রথম গণবিজ্ঞপ্তিতে উপজেলাভিত্তিক শিক্ষক সুপারিশ করায় নিজ উপজেলায় শূন্যপদ না থাকায় অনেক শিক্ষক বাধ্য হয়ে মাদরাসায় ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে মেধাতালিকা অনুযায়ী জাতীয়পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল।
প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগ পরিপত্র থেকে জানা গেছে, একজন ইনডেক্সধারী শিক্ষক যেকোনো বয়সে পরবর্তী যেকোনো গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে মেধাতালিকা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারবেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে অনেক নিবন্ধনধারী শিক্ষক নিজ এলাকায় শূন্যপদ না থাকায় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে আবেদন করে সুপারিশ পেয়েছেন।
তবে হঠাৎ করে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ পরিপত্র ২০১৫-এর ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ সাময়িক স্থগিত করার কারণে চতুর্থ ও পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীদেরও আবেদনের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা এখন সমস্যায় পড়েছেন। এতে লক্ষাধিক ইনডেক্সধারী শিক্ষক ভোগান্তিতে পড়েন। তারপর থেকেই শিক্ষকরা নানা সময়ে বদলির দাবীতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে এলেও তাদের এ সমস্যার সমাধান হয়নি। শিক্ষকদের দাবির মুখে কয়েকদিন আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পারস্পরিক বদলির প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। এরইমধ্যে শিক্ষকদের পারস্পরিক বদলির আবেদন শুরু হয়েছে যা চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু শিক্ষকরা মনে করছেন, এতে ১ শতাংশ শিক্ষকও উপকৃত হবেন না।
আরটিভি/এসএপি/এআর
যেই পথে গেছে আপা, সেই পথে যাবে জাপা: হাসনাত
আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টির সমাবেশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চলছে। মূলত জাপার এমন কর্মসূচি আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুনরুত্থানের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখছে বিভিন্ন দল ও সংগঠন। যদিও পুলিশের নিষেধাজ্ঞার পর বাধ্য হয়ে রাজধানীর কাকরাইলে সমাবেশ স্থগিত করেছে জাপা। এমন অবস্থায় জাতীয় পার্টিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে দেওয়া সেই ফেসবুক পোস্টে হাসনাত লিখেছেন, ‘যেই পথে গেছে আপা, সেই পথে যাবে জাপা। নোট: কেয়ামতের সময়ের তওবা কবুল হয় না।’
এর আগেরদিন, বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় পার্টিকে বেইমান আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। সেখানে তিনি লিখেছেন, জাতীয় বেইমান এই জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের পিটিয়েছে, অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এবার এই জাতীয় বেইমানদের উৎখাত নিশ্চিত।
ঘটনার সূত্রপাত
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ দলের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ২ নভেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় দলটি। জাপার এমন কর্মসূচির কিছুক্ষণ পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় একদল মানুষ।
এরপর শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ওই কার্যালয়ের সামনেই শনিবার সমাবেশের কর্মসূচি হবে। কিন্তু ওই সমাবেশ ‘করতে দেওয়া হবে না বলে’ হুঁশিয়ারি দেয় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। দুই পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাতীয় পার্টি সমর্থন দিলেও আওয়ামী সরকার পতনের পর দলটি তার অতীতের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে হোঁচট খাচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ অনুষ্ঠানসহ পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার তিনটি সংলাপে ডাক পায় জাতীয় পার্টি। এরপর গত ৭ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করব। এরপর গত ১৯ অক্টোবরের চতুর্থ দফার সংলাপে ডাক পায়নি দলটি।
এদিকে গত ১৪ অক্টোবর সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জাতীয় সংলাপ থেকে জাতীয় পার্টিকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানানোর পর জাপা তাদের রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।
এরপর ২৬ অক্টোবর হাসনাত আবদুল্লাহ রংপুরে যাওয়ার খবরে দুপুরে রংপুর শহরের বিভিন্ন সড়কে জাপা নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল করেন। মিছিলের নেতৃত্ব দেন দলের কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান।
আরটিভি/আরএ/এআর
তিন দফা দাবিতে সোহেল তাজের কর্মসূচি ঘোষণা
জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। সে অনুযায়ী আগামী ৩ নভেম্বর ওইসব দাবি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাজউদ্দিন পুত্র।
সোহেল তাজ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আগামী ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস। দেখতে দেখতে ৪৯ বছর পার হয়ে গেলো, অথচ এখন পর্যন্ত জাতির চার বীর যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম- আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না!
এরপর নিজের তিনটি দাবি তুলে ধরেন তিনি। সেগুলো হলো:
১. যেহেতু ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে। তাই এ দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।
২. ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।
৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
পোস্টে সোহেল তাজ লেখেন, ‘আমি মনে করি, আমার এ তিন দাবি ন্যায্য ও যৌক্তিক এবং এটা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সবার প্রাণের দাবি। সেই লক্ষ্যে আমার পরবর্তী কর্মসূচি, আগামী ৩ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩ টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আমি অবস্থান নেবো এবং পরবর্তীতে পদযাত্রা করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেবো।’
তিনি আরও লিখেন, ‘হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে থেকে বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার উদ্দেশ্যে হেটে যাত্রা শুরু করবো। এ সমাবেশে স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের-বৈষম্যবিরোধী চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে অংশ নেয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরটিভি/এসএইচএম