রান্নাঘর তো নয় যেন ক্লাব, নাচের তালে চলছে রান্না-বান্না
একদিকে তপ্ত উনুনে ,আগুনের শিখা উড়া কড়াইয়ে রান্না হচ্ছে সুস্বাদু পাস্তা। আর অন্যদিকে নাচে-গানে হচ্ছে ডিজে পার্টি। ডিজে বক্সের তালে কোমর দুলিয়ে পাস্তা নাড়ছেন শেফ! ভাবছেন, এটা কি সত্যিই রান্নাঘর? নাকি কোনো নাচের ফ্লোরে ঢুকে পড়লেন? এমনটা দেখে মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, তবে কি গানের সুর রান্নায় মজার স্বাদ যোগ করে? নাকি রান্নার সুগন্ধে গলায় ভালো সুর উঠে? তবে উভয়ের মিশ্রণে বলাই যায় এটি রান্নাঘর ক্লাব। যাদের রান্না করতে আলসেমি লাগে তাদের জন্য এই রান্নাঘর ক্লাব হতে পারে চমৎকার জায়গা। অদ্ভুত লাগলেও ফ্রান্সের মার্সেইয়ের এই রেস্তোরাঁয় এমনটাই ঘটছে। যেখানে এই অভিনব উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে লেট হিম কুক।
চলতি বছর শুরু হওয়া এই অদ্ভুত আয়োজন এখন পুরো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে। রান্নাঘরের এই মজাদার পরিবেশে ডিজে শিল্পীরা তাদের সুরের জাদু দেখাচ্ছেন। পেছনে শেফ রান্নায় মগ্ন। রান্নার তাপে শেফের হাত আর সুরের তাল চলছে একসাথে। আবার সেখানে রান্না করা পাস্তার স্বাদ নিচ্ছেন। আর এই অনুষ্ঠান ওয়েব রেডিওতে সরাসরি সম্প্রচার হয়। যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওগুলোর লাখ লাখ ভিউ ছাড়িয়ে গেছে।
এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছেন থিও ফেরাটো ও তার মা ইসাবেল হোয়াং। তাদের মতে, সঙ্গীত ও রান্নার মধ্যে এক গভীর মিল আছে। থিও বলেন, বিভিন্ন দেশের উপাদান নিয়ে যেমন একেকটি খাবার তৈরি হয়, তেমনি জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে সুরের মেলবন্ধন তৈরি হয়। রান্না আর সুর, দুটিই মানুষের মন জয় করার সেরা মাধ্যম।
ডিজে কার্লা মো জানান, রান্নাঘরের এই সুর আর গন্ধ তাকে এক অন্য জগতে নিয়ে যায়। শেফ এঞ্জো বলেন, এই সঙ্গীত তাকে রান্নায় আরও মনোযোগী হতে সাহায্য করে, এমনকি খাবার আরও দ্রুত তৈরি হয়ে যায়! এখানে ব্রাজিল, ইতালি, গ্রিস, এমনকি এশিয়ারও শিল্পীরা অংশ নিচ্ছেন। ইসাবেল জানান, ফরাসি রান্নার প্রতি এশিয়ানদের বিশেষ আগ্রহ তাদের অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
থিও বলেন, এই প্রকল্পের মূল আকর্ষণ এর স্বতঃস্ফূর্ততা। এখানে কোনো কিছু সাজানো নয়, সবকিছু একদম বাস্তব। এই প্রকল্প তাদের রান্নাঘরকে শুধু এক সৃজনশীল কেন্দ্রই নয়, বরং একটি বৈশ্বিক মঞ্চে পরিণত করেছে।
আরটিভি/এফআই/এআর
মন্তব্য করুন