বাংলাদেশের ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে ৫ বছরের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেবে ভারত। এছাড়া ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে চিকিৎসা সহায়তাসহ তাদের সন্তানদের বৃত্তির সংখ্যা ১০ হাজার বাড়িয়ে ২০ হাজার করা হবে। বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শনিবার বিকেলে দিল্লি সেনানিবাসের মানেকশ সেন্টারে মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৭ শহিদ ভারতীয় সেনা পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননাপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মোদি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস রক্ত দিয়ে লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে আছে ভারতীয় শহীদদের রক্ত। তাদের আত্মত্যাগের কথা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে স্মরণ করা হবে। ভারতীয় সেনাদের জন্য এটি বিশেষ দিন। বাংলাদেশ-ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের সম্মানের দিন। এ দিনটি ঐতিহাসিক।
তিনি আরো বলেন, ভারতীয় বীর শহিদরা ১৯৭১ সালে নিজেদের তাজা প্রাণ দিয়েছেন স্বাধীন বাংলা গঠনে। ভারতীয় সেনাদের সম্মাননা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সেনাদের দুই দেশের মানুষ আজীবন মনে রাখবে তাদের বলিদানের জন্য।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ৪ জন, বিমান বাহিনীর ১ জন, নৌবাহিনীর ১ জন এবং বিএসএফ-এর একজন শহিদ সেনাদের সম্মাননা দেওয়া হয়।
এদিকে এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ভারতীয় সেনাদের প্রতি আনুষ্ঠানিক সম্মান প্রদর্শন শুরু হয়।
এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদৎবরণকারী ভারতীয় সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী ও বিএসএফ-এর ১৬৬১ অফিসার ও জওয়ান-এর তালিকা তৈরি করা হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর নিয়োজিত সাব-কমিটির আহ্বায়ক লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীরপ্রতীক। তালিকাভুক্ত শহিদ সেনাদের মধ্যে থেকে সাত শহিদ সেনা পরিবারের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননাপত্র তুলে দেন।
পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধিরা বাকী শহিদ পরিবারের কাছে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সম্মাননা হস্তান্তর করা হয়।
এমসি/ এএইচসি/