বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় তা বাড়িয়ে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি। বললেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।
রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৩৮তম সভায় তিনি এ প্রস্তাব করেন।
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এছাড়া ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, প্লাস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিনসহ দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
এফবিসিসিআই’র সভাপতি লিখিত বক্তব্যে বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের অনুপাত দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় কম। মোট রাজস্ব আহরণে প্রত্যক্ষ করের অবদান মালয়েশিয়ায় ৭৫ শতাংশ, পাকিস্তানে ৩৭ শতাংশ, ভারতে ৫৬ শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশ ৩০ শতাংশ।
মাতলুব আহমাদ বলেন, এ বছর ই-টিনধারীর সংখ্যা ২৮ লাখ অতিক্রম করেছে। এদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের আওতায় এনে আয়কর খাত থেকে রাজস্ব বাড়ানো যেতে পারে। এতে ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, কাঁচামালের ওপর পাঁচ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, সারচাজের্র সীমা দু’কোটি ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করা এবং করপোরেট কর হার আড়াই শতাংশ হ্রাস করা উচিত।
পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর শূন্য দশমিক সাত শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ করারও প্রস্তাব করেন এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও এফবিসিসিআই যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
এমসি/ডিএইচ