যাত্রাবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম হত্যার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে দু’জন ও এর আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে অপর দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ওয়ারী বিভাগের পুলিশের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, ব্রিফকেসের জন্যই মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ গেছে। ব্রিফকেসের মধ্যে ছিলো বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া আসল ও নকল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ছিল।
গেলো ১ জুন ভোরে একটি ব্রিফকেস নিয়ে কুমিল্লার মুরাদনগরে যাওয়ার জন্য রিকশায় করে যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম। পরে ধলপুরের ব্রাহ্মণ-কিরণ এলাকায় পৌঁছলে অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীরা তার রিকশার গতিরোধ করে ব্রিফকেস নেয়ার চেষ্টা করে। পরে জাহাঙ্গীর আলম তাদের দেখে ব্রিফকেসসহ পালানোর চেষ্টা করলে সেসময় ছিনতাইকারীরা তাকে চাকু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার যাত্রাবাড়ী থানায় গেলো ১ জুন’১৭ একটি হত্যা মামলা করে।
পরে মামলাটি তদন্ত শুরু করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার বরপা নামক এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মোঃ রানা বেপারী ও পরশ ওরফে পলাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মঙ্গলবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যায় জড়িত অপর আসামি মাসুদুর রহমান ওরফে শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরবর্তীতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের দেয়া তথ্য মোতাবেক বুধবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানার বিবির বাগিচা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরো দুইজন ফরহাদুল ইসলাম ওরফে সিহাব ও ফয়সাল ইসলাম মোমেনকে গ্রেফতার করা হয়।
আর/জেএইচ