২০১৬ সালের পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা হয়। ভয়াবহ ওই হামলায় নিহত হয় দু’পুলিশ সদস্যসহ ৪ জন। এছাড়া পুলিশের গুলিতে নিহত হয় দু’জঙ্গি।
ঈদ জামাতে ওই জঙ্গি হামলার প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এ ঘটনায় করা মামলার এখনও তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশ। এরই মধ্যে হামলায় সরাসরি জড়িত সবাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেলেও পুলিশ ছুটছে অস্ত্র, অর্থ ও মদদদাতাদের সন্ধানে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুর্শেদ জামান বলছেন, তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে, তবে এখনো শেষ হয়নি। তাই অভিযোগপত্র দিতে আরো সময় লাগবে।
এদিকে গুলশানের হলি আরিটজান ও ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার অন্যতম হোতা জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধী। গেলো ২৯ মে তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় কিশোরগঞ্জ পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং অস্ত্র, অর্থ এবং হামলার নেপথ্যে কারা ছিল তাদের নাম প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।
গেলো বছরের ৮ জুলাই শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় নিহত হন পুলিশ সদস্য আনসারুল হক ও জহিরুল ইসলাম। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত হন ঝর্ণা রানী ভৌমিক নামে এক নারী।
অন্যদিকে শোলাকিয়া হামলার ঘটনায় শফিউল ইসলাম (ডন), জাহিদুল হক তানিম এবং অজ্ঞাতনামা আরো কিছু আসামিদের বিরুদ্ধে গেলো বছরের ১০ জুলাই পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামসুদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে রাজিব গান্ধী ছাড়াও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আনোয়ার হোসেন (৪৬) এবং কিশোরগঞ্জ শহরের জাহিদুল হক তানিম (২৫) কারাগারে রয়েছেন।
এইচটি/এসএস