নারী এশিয়া কাপে চার ম্যাচে দুই জয়ে পয়েন্ট তালিকায় বর্তমানে পাঁচ নম্বরে আছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে পাঁচ ম্যাচে তিন জয়ের তালিকায় চারে রয়েছে থাইল্যান্ডের মেয়েরা। এর ফলে সেমিফাইনাল খেলার সমীকরণটা বাংলাদেশের জন্য কঠিন করে হয়ে গেছে। তারপরও সেমিফাইনাল খেলতে পারবে টাইগ্রেসরা!
শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। আপাতত বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে সোমবার (১০ অক্টোবর) সকালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটির দিকে। তবে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জিতলেই যে টাইগ্রেসদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে এমনটা নয়।
শ্রীলঙ্কার কাছে হারলে ভারত-থাইল্যান্ডের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। যেখানে ভারতের জয়ের আশা করতে হবে টাইগ্রেসদের। এরপর নিজেদের শেষ ম্যাচে হারাতে হবে আমিরাতকে।
সমীকরণ অনুযায়ী, থাই মেয়েরা যদি নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের কাছে হারে, বাংলাদেশ যদি শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে আমিরাতের সঙ্গে জয় পায়, তাহলে ৬টি করে ম্যাচ শেষে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান হবে। এরপর আসবে রানরেটের হিসাব। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য স্বস্তি, কারণ আপাতত রানরেটে থাইল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাকি দুটি ম্যাচেই যদি বাংলাদেশ জিতে তারপরেও রানরেটের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। কারণ, থাইল্যান্ড যদি ভারতের সঙ্গে জিতে যায় তাহলে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের পয়েন্ট সমান হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে রানরেটের হিসেব হবে। রানরেটে টাইগ্রেসরা এগিয়ে থাকলে সেমিফাইনাল খেলতে পারবে।
নারী এশিয়া কাপে বর্তমানে পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারত। একই ম্যাচ খেলে রানরেটে পিছেয়ে থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। চার ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা।