‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসর এবার মাঠে গড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে। ইতোমধ্যে বিশ্ব আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেলা শেষ হয়েছে। কিন্তু গত ৯ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ফুটবল সাংবাদিক গ্রান্ট ওয়াহল মারা যান। তার মৃত্যুর এক সপ্তাহ না যেতেই মারা গেলেন আরও এক সাংবাদিক।
ফুটবল বিশ্বকাপ কাভার করা এই সাংবাদিকের নাম খালিদ আল-মিসলাম। তিনি কাতারের স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেল আল কাসের ফটো সাংবাদিক ছিলেন। তিনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন, তারাই এই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ঠিক কি কারণে মারা গেছেন, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
কাতারি টিভি চ্যানেল আল কাস খালিদের মৃত্যুর জন্য তার পরিবারকে সান্ত্বনাও জানিয়েছেন। তবে এর বেশি আর কিছু জানানো হয়নি। ফলে কীভাবে, কোথায় তার মৃত্যু হয়েছে, সেটি এখনও অজানা।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে দোহার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস শেষ ষোলোর ম্যাচ চলাকালেই প্রেস বক্সে লুটিয়ে পড়েন মার্কিন সাংবাদিক গ্রান্ট ওয়াহল। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কাছাকাছি একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে খালিদের মতো ওয়াহলের মৃত্যুর কারণ অজানা ছিল না। এই সাংবাদিক কয়েক দিন পরিশ্রম করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আর্জেন্টিনার কোয়ার্টার ফাইনাল চলাকালেও তিনি অসুস্থ ছিলেন। আমেরিকার ফুটবল ফেডারেশন ওয়াহলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। তার মৃত্যুর জন্য হার্ট অ্যাটাককে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তবে গ্রান্টের ভাই এরিক ওয়াহলের দাবি, কাতার বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ম্যাচে রংধনু টি-শার্ট পরে স্টেডিয়ামে ঢুকতে চেয়েছিলেন গ্রান্ট। কিন্তু তাকে বাধা দেন নিরাপত্তাকর্মীরা। পরে টি-শার্ট বদল করেই স্টেডিয়ামে ঢুকতে হয় তাকে। এজন্য তাকে খুন করা হয়েছে।