বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ
বাংলাদেশের সামনে ভারতের ২২৯ রানের চ্যালেঞ্জ
দিনের শুরুটা ছিল ঝলমলে রৌদ্রজ্জ্বল। কিন্তু যত সময় গিয়েছে বাংলাদেশের শিবির ততই ছেয়ে গেছে হতাশার কালো মেঘে। শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইনিংসের শুরুতে যেই তেজ ছিল টাইগ্রেস বোলারদের, সেই তেজ ক্রমেই কমে একটা সময় ম্লান হয়েছে ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটারদের কল্যাণে।
আর তাতে করেই অল্পতেই আটকে যাওয়ার শঙ্কায় থাকা ভারত চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশের সামনে। অধিনায়ক হারমানপ্রীত সিং কৌর আর জেমিনাহ রদ্রিগেজের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটের খরচায় ২২৮ রান সংগ্রহ করেছে সফরকারীরা।
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই টাইগ্রেস পেসারদের তোপের মুখে পরে ভারতের টপ অর্ডার।
দিনের শুরুতেই ভারতের শিবিরে আঘাত হানেন পেসার মারুফা আক্তার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে প্রিয়া পুনিয়াকে ফেরানোর মধ্য দিয়ে ভারতের প্রথম উইকেটের পতন ঘটান মারুফা। টাইগ্রেস পেসারের তোপে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাঠ ছাড়তে হয় ভারতীয় এই ওপেনারকে।
মাত্র সাত রান করেই মাঠ ছাড়তে হয় প্রিয়াকে। এতে করে ১৭ রানেই পতন ঘটে সফরকারীদের প্রথম উইকেটের।
দ্রুত উইকেট পতনের রেশ কাটাতে দেখেশুনে ব্যাট চালাতে থাকেন স্মৃতি মান্ধানা ও ইয়াতিশকা ভাটিয়া। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে গিয়ে মারুফার শিকার হন ভাটিয়া। রান আউট হয়ে ১৫ রানে তাকে ফিরে যেতে হয় সাজঘরে।
তবে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ঘরে লড়াই চালিয়ে যান অভিজ্ঞ ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা। কিন্তু ৫৮ বলে ৩৬ করে রাবেয়ার শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ফলে স্কোরবোর্ডে ৬৮ রান তুললেই তিন উইকেট হারায় ভারতের।
বিপর্যয় এড়িয়ে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত ও জেমিনাহ। দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন দল।
জেমিনাহর ব্যাট থেকে আসে ৭৮ বলে ৮৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস আর ৮৮ বলে ৫২ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন কৌর।
এই দুই ব্যাটারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের অল্পতেই আটকে দেওয়ার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে স্বাগতিকদের সামনে ২২৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুড়ে দেয় ভারত।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন সালমা খাতুন ও নাহিদা আকতার। একটি করে উইকেট ঝুলিতে নেন মারুফা আক্তার ও রাবেয়া খান।
মন্তব্য করুন