২০১১ সাল থেকে নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। পাঁচ বছর পর প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ পদত্যাগ করলে তার স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে পুনরায় তার (নান্নু) মেয়াদ বাড়ানো হয়। অন্যদিকে হাবিবুল বাশার নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন ১৩ বছর ধরে। আর আব্দুর রাজ্জাকের দায়িত্ব পালন করার সময় বাকি দুজনের মতো এত দীর্ঘ নয়।
তবে সম্প্রতি একাধিক মেয়াদে কাজ করা নান্নুকে নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। সমালোচনার মূল কারণ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাকিব বাহিনীর চরম ব্যর্থতা। স্কোয়াড নির্বাচন ও মাঠের পারফরম্যান্সে ব্যর্থতার কারণে নির্বাচক প্যানেলে নতুন কাউকে নিয়োগের দাবিও উঠে।
এদিকে গুঞ্জন উঠেছে, মেয়াদ শেষে ম্যাচ রেফারি হতে চান বর্তমান প্রধান নির্বাচক নান্নু। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে নান্নু জানান, এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এটা তো কেউ আমাকে জোর করে চাপিয়ে দিতে পারে না। আমি নির্বাচকের আগে কোয়ালিফাইড লেভেল-থ্রি কোচ। আমার তো ওদিক নিয়েও চিন্তা-ভাবনা আছে। খেলা ছাড়ার পর ক্রিকেটের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। বাকি জীবনটা তো ক্রিকেটের সঙ্গে কাটবে। আমি কী করব, এটার সিদ্ধান্ত তো আমি নেব।
আমৃত্যু ক্রিকেটের সঙ্গে থাকার ইচ্ছে জানিয়ে নান্নুর ভাষ্য, বোর্ড তো এখনও আমাকে কিছু জানায়নি। বোর্ড সভাপতি যখন জানাবে, তখন আর কন্টিনিউ করছি না। ওটার পরিকল্পনা আমি তখন করব। আমাকে তো কিছু করতে হবে। ক্রিকেট দিয়েই তো সারাজীবন পার করে দিয়েছি। যে কয়দিন বাঁচব, কিছু তো করতে হবে, আমার ইচ্ছা ততদিন ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকব।
নতুন করে চুক্তির বিষয়ে নান্নুর মন্তব্য, আজকে ১০ বছর ধরে আমরা কাজ করছি, এভাবেই যাচ্ছে। কোনো সময় কিন্তু বোর্ড বলেনি যে চুক্তি শেষ বা এইটা। আমরা কাজ করে যাচ্ছি, বোর্ড যদি মনে করে... কিন্তু বোর্ড মিটিং ছাড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারে না; সুতরাং তখনই সিদ্ধান্ত জানা যাবে। এমনও গেছে যে চুক্তি নাই, এক বছর কাজ করার পর চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আমাদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তি আছে, এটা বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেবে, নির্বাচক প্যানেল রাখবে কী রাখবে না।