ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হার, এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও প্রথম ম্যাচ হেরে যায় বাবর আজমরা। সবশেষ ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শেষ করেছে পাকিস্তান। তবুও চলমান বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেশটির সাবেক ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি।
মঙ্গলবার (৪ জুন) পিসিবির এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে কথা বলেন আফ্রিদি। এসময় তিনি পাকিস্তান দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে দেখছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এ ছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনকে পাকিস্তান দলের জন্য উপযোগী বলেও মনে করেন ২০০৭ বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার।
তিনি বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশন আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য বেশ উপযুক্ত। আমাদের স্পিনার ও পেস বোলাররা ভালো এবং ব্যাটাররাও দুর্দান্ত ফর্মে আছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ফিল্ডিং, পাকিস্তানের ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে এটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সেজন্য প্রতিটি সুযোগকেই কাজে লাগানো উচিৎ।
অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়ে বলেন, পুরো দলেরই উচিৎ বাবরকে সমর্থন দেওয়া, বিশেষ করে সিনিয়ররা। যখন অধিনায়ক কোনো সিদ্ধান্ত নেবে, তার উচিৎ ভয় হীনভাবে নেওয়া। আমি আত্মবিশ্বাসী যে পাকিস্তান বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে।
চলতি বিশ্বকাপ শুরুর সপ্তাহ খানেক আগে আসরটিতে আফ্রিদিকে শুভেচ্ছাদূত ঘোষণা করেছিল আইসিসি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক তারকা ক্রিস গেইল, সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং ও কিংবদন্তি গতিমানব উসাইন বোল্টের পর তাকে বিশেষ এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ওই সময় নিজের অনুভূতি জানিয়ে পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক বলেছিলেন, আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এমন একটি ইভেন্ট, যা আমার হৃদয়ের খুব নিকটে। উদ্বোধনী আসরে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়া এবং ২০০৯ সালে বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরার মুহূর্ত আমার কাছে এখনও স্মরণীয়। আমার ক্যারিয়ারের পছন্দের কিছু হাইলাইটস এই প্রতিযোগিতা থেকে অর্জিত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সাম্প্রতিক সময়ে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে এবং এই ফরম্যাটের অংশীদার হতে পেরে অনেক রোমাঞ্চিত। যেখানে আগের বেশি প্রতিযোগী (দল), বেশি ম্যাচ এবং অনেক বেশি নাটকীয়তা দেখা যাবে।
‘বিশেষ করে আমি ৯ জুন ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচটি দেখার জন্য অনেক রোমাঞ্চ অনুভব করছি। নিউইয়র্কে হতে যাওয়া ম্যাচগুলোর মধ্যে এটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় রাইভালরি’
আগামী ৭ জুন নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলবে বাবরের দল। এরপর ৯ জুন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত, ১২ জুন কানাডা ও ১৬ জুন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের শেষ ম্যাচ।