নাসিরের পর নিষিদ্ধ হলেন দলের কোচ এবং দুই প্রতিষ্ঠাতা
বাংলাদেশ দেশ ক্রিকেট দলে এক সময় অটোচয়েজ হিসেবে ২২ গজে দাপট দেখাতেন নাসির হোসেন। কিন্তু বিতর্কিত কাণ্ডের কারণে জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়েন এই অলরাউন্ডার। তবে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে দেখা যেত তাকে। তবে উপঢৌকন নেওয়ার অভিযোগে গত বছর সব ধরণের ক্রিকেট থেকে ২ বছর নিষিদ্ধ হন নাসির।
২০২১ সালে আরব আমিরাতের টি-টেন লিগে খেলতে গিয়ে ঘুষ হিসেবে উপঢৌকন গ্রহণের প্রস্তাব পেয়েছিলেন এই বাংলাদেশি ক্রিকেটার। কিন্তু আইসিসির দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের কাছে সেটি প্রকাশ না করায় এই শাস্তি পান তিনি।
এবার সেই ঘটনায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তার দল পুনে ডেভিলসের ব্যাটিং কোচ আশার জাইদি ও দলের দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা পরাগ সংঘভি ও ক্রিষাণ কুমারকেও।
বুধবার (৭ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এই নিষেদ্ধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। কোচকে জাইদিকে দেওয়া হয়েছে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা।
এর মধ্যে কোনো ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না পাকিস্তানি সাবেক এই ক্রিকেটার। নির্ধারিত সময় অনুসারে ২০২৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন জাইদি।
বাকি দুইজনকে শাস্তি কমিয়ে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ক্রিকেটীয় কাজে ফিরতে পারবেন পরাগ সানগাভি ও কৃষাণ কুমার। কারণ, অভিযোগ উত্থাপনের পর গেল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকেই প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ ছিলেন তিনজন।
পরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। বিবৃতি তারা উল্লেখ করেছে কোন কোন ধারায় তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
আশার জাইদি
ধারা ২.১.৪: প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অনুচ্ছেদ ২.১ (দূর্নীতি) লঙ্ঘন করার জন্য কোনও অংশগ্রহণকারীকে প্ররোচিত করা, প্ররোচিত করা, প্রলুব্ধ করা, নির্দেশ দেওয়া, প্ররোচিত করা, উত্সাহিত করা বা ইচ্ছাকৃতভাবে সহায়তা করা।
ধারা ২.৪.৪: দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের কাছে দূর্নীতিতে জড়িত হওয়ার জন্য প্রাপ্ত কোনো আমন্ত্রণের সম্পূর্ণ বিবরণ প্রকাশ করতে ব্যর্থ হওয়া।
পরাগ সংঘভি
ধারা ২.২.১: আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ম্যাচের ফলাফল, অগ্রগতি, আচরণ বা অন্যান্য দিকের উপর বাজি ধরা।
ধারা ২.৪.৬: বিধিনিষেধ সংক্রান্ত কোডের অধীনে সম্ভাব্য দুর্নীতি সম্পর্কিত তদন্তে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়া।
কৃষাণ কুমার চৌধুরী
ধারা ২.৪.৫: কোনো ঘটনা, ঘটনা বা বিষয়ের সম্পূর্ণ বিবরণ (অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব ছাড়া) প্রকাশ করতে ব্যর্থ হওয়া যা অন্য অংশগ্রহণকারীর দ্বারা কোডের অধীনে দুর্নীতিবাজ আচরণের প্রমাণ দিতে পারে।
ধারা ২.৪.৬: বিধিনিষেধ সংক্রান্ত কোডের অধীনে সম্ভাব্য দুর্নীতি সম্পর্কিত তদন্তে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়া।
মন্তব্য করুন