গত বছর ২১ আগস্ট বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নানা বিতর্ক সঙ্গী হয়েছে ফারুক আহমেদের। তাই বিসিবি সভাপতির পদে সাবেক এই ক্রিকেটারকে আর রাখতে চায় সরকার। তবে পদ ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ফারুক আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে দেশের জাতীয় এক দৈনিককে এই কথা জানিয়েছেন ফারুক আহমেদ।
গতকাল রাতে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করেছেন বর্তমান বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ। সে ফারুককে বার্তা দেওয়া হয়, সরকার বিসিবির শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনতে চায়। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে ফারুক দুই-এক দিন সময় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ফারুক নিজেই। তিনি বলেন, উপদেষ্টা কিন্তু আমাকে পদত্যাগ করতে বলেননি। শুধু বলেছেন, আমাকে আর তারা কন্টিনিউ করাতে চান না। বর্তমানে কী সিদ্ধান্ত নেবেন? এই প্রশ্নের জবাবে তার ভাষ্য, ‘এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। দেখা যাক, কী হয়।’
এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই পদত্যাগ করবে না বলে জানিয়েছেন বর্তমান সভাপতি। তিনি বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি পদত্যাগ করব না। আমাকে বলা হয়েছে, সরকার নাকি আমাকে আর বিসিবি সভাপতি হিসেবে রাখতে চাচ্ছে না। কিন্তু কেন রাখতে চাচ্ছে না সেটার কোনো কারণ তাঁরা আমাকে বলেনি। বিনা কারণে তো আমি পদত্যাগ করতে পারি না।
এদিকে বিসিবির দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক ও বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম।
এক সাক্ষাৎকারে আমিনুল বলেন, আমাকে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিতে এখনও বলা হয়নি। ১০-১৫ দিন আগে আমার সঙ্গে উপদেষ্টার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তারা আমাকে কোনো একটা ভূমিকায় কিছু সময়ের জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটে চাচ্ছেন। আমিও তাতে রাজি হয়েছি।
এখন দেখার বিষয় কোন পথে হাঁটে সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। তবে ফারুক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে অবশ্য সরকারের জন্য বিসিবি সভাপতি পদে পরিবর্তন আনাটা সহজ হবে না। কারণ, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের ব্যাপারে আইসিসির কঠোর বিধিনিষেধ আছে।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি এ ধরনের হস্তক্ষেপে কড়া অবস্থানে থাকে এবং তাদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি এর আগেও কার্যকর হয়েছে। অতীতে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মতো দেশের ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে সেসব দেশকে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
আরটিভি/এসআর/এআর