চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছে পিএসজি। এর আগে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালের ইতিহাসে কোনো দল ৫ গোলের ব্যবধানে শিরোপা জেতেনি। এ ছাড়া আরও একটি রেকর্ড গড়েছে ফরাসি জায়ান্টরা।
প্রথমবারের মতো ৩৬ দল নিয়ে মাঠে গড়িয়েছিল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ৩২ থেকে ৩৬ দলে রূপ নেওয়া টুর্নামেন্টের ফরম্যাটও বদলে যায়। যার প্রভাব পড়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রাইজমানিতে।
২.১৯ বিলিয়ন থেকে বেড়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রাইজমানি দাঁড়ায় ২.৭১ বিলিয়ন ডলারে। ফলে ইন্টার মিলানকে হারিয়ে রেকর্ডগড়া পিএসজি টাকার অঙ্কেও ইতিহাস গড়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৩৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এ ছাড়াও বিভিন্ন পর্বে ম্যাচপ্রতি জয়ের হিসাব রয়েছে।
বাংলাদেশি মুদ্রায় এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে মোট প্রাইজমানির পরিমাণ প্রায় ৩৩ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ প্রাইজমানি। যা গতবার ছিল ২৬ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা, অর্থাৎ এবার বেড়েছে ৭ হাজার কোটিরও বেশি।
কেবল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদেই পিএসজি ৩৩৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা এবং রানার্সআপ হওয়া ইন্টার ২৫৪ কোটি টাকা। পিএসজি গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের (২৬২ কোটি ৫৭ লাখ) চেয়ে আরও ৭৭ কোটি টাকারও বেশি পাচ্ছে।
পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই পিএসজি এবং ইন্টার মিলান তাদের পারফরম্যান্সের সুবাদে উয়েফা থেকে বড় রাজস্ব অর্জন করেছে। যেখানে ইন্টার মিলানের পকেটে গেছে সর্বোচ্চ। ইতালিয়ান ক্লাবটি ১১১ মিলিয়ন ডলার এবং ফরাসি জায়ান্টরা ১০৩.৫ মিলিয়ন ইউরো পকেটে পুরেছে।
এ ছাড়া স্বাভাবিকভাবেই পিএসজির হাতে উঠেছে ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস ১৬.৫ পাউন্ডের ট্রফি। পারফরম্যান্স কেন্দ্রিক আয় তো আছেই, এর বাইরে লিগপর্ব থেকে শুরু করে প্লে-অফ, রাউন্ড অব সিক্সটিন ও সেমিফাইনালসহ প্রতিটি রাউন্ডে উত্তীর্ণ দলের জন্যও নির্দিষ্ট অঙ্কের বরাদ্দ রয়েছে।
২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে আয়ের আরও উৎস খুলে দিয়েছে পিএসজির সামনে। তারা চলতি বছর ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ, উয়েফা সুপার কাপ এবং ২০২৯ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার পাশাপাশি সেখানকার রাজস্ব আয়েরও বড় সুযোগ তৈরি করে রেখেছে।
আরটিভি/এসআর