বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্লাবগুলোর মধ্যে একটি প্যারিস সেন্ট-জার্মেই (পিএসজি)। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা না জেতার আক্ষেপে পুড়ছিল তারা। এই একটি শিরোপা জয়ের জন্য কাড়িকাড়ি অর্থ খরচ করেছেন ক্লাবটির মালিক নাসের আল-খেলাইফি।
এমনকি মেসি, নেইমার, এমবাপ্পে, রামোসদের মতো তারকা ফুটবলারদের এক সঙ্গে দলে ভিড়িয়েছিলেন খেলাইফি। তারপরও শিরোপার স্বাদ পায়নি তারা। সম্প্রতি নতুন এবং তরুণদের একটি দুর্দান্ত দল গঠন করেছিলেন লুইস এনরিক।
আর সেই তরুণরাই এবার পিএসজি মালিকের আক্ষেপ ঘুচিয়েছে। গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে এনরিকের শিষ্যরা।
তবে প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের আনন্দ রূপ নিয়েছে সহিংসতায়। মিউনিখের আলিয়েঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই প্যারিসে শুরু হয় উদযাপন, যা অল্প সময়েই রূপ নেয় বিশৃঙ্খলায়।
আতশবাজি, পটকা, এবং পুলিশের দিকে ছোড়া বস্তু—সবকিছু মিলিয়ে রাস্তাজুড়ে সৃষ্টি হয় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় উগ্র সমর্থকদের।
এই ঘটনার পর এখনও কোনো নির্দিষ্ট গ্রেপ্তারের তথ্য প্রকাশ পায়নি, তবে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশ সদস্যরা কয়েকজন পিএসজি সমর্থককে রাস্তায় টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে।
সংঘর্ষের প্রভাবে মেট্রো সেবাও সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়, কিছু সমর্থক রেললাইনে উঠে পড়ায় বাধ্য হয়ে থামিয়ে দেওয়া হয় ট্রেন চলাচল। ফ্রান্সের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো আগেই ম্যাচটিকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
কারণ, মিউনিখে ম্যাচ দেখতে এসেছিল প্রায় ৫০০ ইন্টার ও ১৫০ পিএসজি সমর্থক, যার কারণে জার্মানির শহরজুড়ে মোতায়েন ছিল ২,০০০-এর বেশি নিরাপত্তা বাহিনী, এমনকি হেলিকপ্টার থেকেও নজরদারি চালানো হয়।
ঘটনার জেরে উয়েফা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ঘটনার তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, দোষীদের শনাক্ত করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এসআর/এস