উরুগুয়ে ও ব্রাজিলকে হারিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট কাটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। চিলির বিপক্ষে শুরুর একাদশে ছিলেন না লিওনেল মেসি। চিলিকে তাদের মাঠে ১-০ গোলে হারিয়েছে স্কালোনির শিষ্যরা। এই জয়ের ফলে শীর্ষ দল হিসেবে মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত করল মেসি বাহিনী।
১৫ ম্যাচ শেষে ১১ জয় ও ১ ড্রয়ে আর্জেন্টিনার সংগ্রহ এখন ৩৪ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইকুয়েডর সমান ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেছে ২৪ পয়েন্ট। বাকি ৩ ম্যাচে জয় পেলেও তাদের পক্ষে আর ১০ পয়েন্টের ব্যবধান ঘুচানো সম্ভব নয়।
বিশ্বকাপে জায়গা আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এই ম্যাচে লিওনেল স্ক্যলোনি তার দল নিয়ে কিছু পরীক্ষা চালিয়েছেন। তরুণদের এই ম্যাচে সুযোগ দিয়েছেন তিনি। অবশ্য মেসিকে ছাড়া খেলতে নেমে খারাপ খেলেনি আর্জেন্টিনা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা। যার ফল পেতেও বেশী সময় অপেক্ষা করতে হয়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
ম্যাচের সময় যখন ১৬ মিনিট তখন আর্জেন্টনাকে লিড এনে দেন হুলিয়ান আলভারেজ। ৩৪ মিনিটে ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ করার সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সের ভেতরে বল পেয়েছিলেন সিমিওনে। কিন্তু বল বাইরে মেরে সেই সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলার কিছুটা নিয়ন্ত্রণ নেয় চিলি। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগকে চাপে রাখে। ৫৭ মিনিটে নিকো পাজের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মেসি। চিলিও দারিও অসোরিওকে তুলে অ্যালেক্সান্ডার আরাভেনাকে মাঠে নামায়।
খেলার ৬০ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ নষ্ট করে চিলি। সানচেজের নেয়া ফ্রি-কিক চেপেদার কাছে আসে। তার বাঁ পায়ের বাঁকানো ভলি দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন এমি মার্টিনেজ।
৬৩ মিনিটে ফের সুযোগ নষ্ট করে চিলি। তালিয়াফিকো আলতামিরানোর শট ঠেকিয়ে দেন মার্টিনেজ।স্বাগতিকদের হেড কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান মার্টিনেজ। সেই কর্নারের কিক আবার কর্নারের মাধ্যমে ঠেকায় সফরকারীরা। ৬৭ মিনিটে মেসির নেয়া কর্নার ঠেকিয়ে দেন চিলির গোলরক্ষক। পরের মিনিটেই কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। মেসির নেয়া কর্নার ক্লিয়ার করতে গিয়ে ফ্রি-কিক উপহার দেয় চিলি। কিন্তু ফ্রি-কিক কাজে লাগাতে পারেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
৮৪ মিনিটে অভিষেক হয় ১৭ বছর বয়সী প্রতিভাবান মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোর। যিনি ইতোমধ্যেই আর্জেন্টিনার ফুটবল মহলে বিস্ময়বালক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
দুই দল একাধিক সুযোগ পেয়েছিল কিন্ত কোন দল আর গোলের দেখা পায়নি। ফলে ১-০ স্কোরলাইনেই আর্জেন্টিনার বিজয় নিশ্চিত হয়।
এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের কনমেবল অঞ্চলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই রইল লিওনেল মেসিরা। অন্যদিকে এই হারে চিলির বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়ার শেষ সম্ভাবনাটুকুও শেষ হয়ে গেল। ১৫ ম্যাচ খেলে ২টি জয় ও ৪ ড্র করে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতেই থাকল সানচেজরা।
আরটিভি/এসকে/এআর