কয়েক দিন আগেই বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম। আর এর মধ্যেই তার সামনেই হাজির টেস্ট ক্রিকেটের বড় এক উপলক্ষ। সেটি হলো বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদাপ্রাপ্তির রজতজয়ন্তী, ২০০০ সালের ২৬ জুন দশম দল হিসেবে আইসিসি থেকে টেস্ট খেলার চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছিল বাংলাদেশ।
তাই বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির ২৫ বছর পূর্তির উপলক্ষকে স্মরণ করতে বেশকয়েকটি কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন আমিনুল। যা ‘তৃণমূলে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেওয়ার’ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্যও কাজ করবে।
জানা গেছে, টেস্টে মর্যাদার ২৫ বছর উপলক্ষে ২১ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত ৭ বিভাগীয় শহরে বেশ কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে আছে অনূর্ধ্ব-১২ পর্যায়ের সিক্স এ সাইড প্রতিযোগিতা।
এ ছাড়া বিভাগীয় শহরে একজন কোচও থাকবেন। ‘প্যারেন্টাল/ফ্রি ফর অল কোচিং সেন্টার’ নামের আয়োজনের মাধ্যমে আগ্রহী অভিভাবকদের ক্রিকেট কৌশল ও খেলার মূল ধারণা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে। একই সময়ে স্কুল–কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য পেসার ও স্পিনার হান্টের আয়োজনও করা হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র দেখিয়ে এতে অংশ নেওয়া যাবে। প্রতিটি ভেন্যুতে একটি করে কমেন্ট্রি বুথও থাকবে। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মুহূর্তের ভিডিওগুলো সেখানে উপস্থাপন করা হবে। আগ্রহী দর্শকরা চাইলে ভিডিওর ওপর ধারাভাষ্য দিতে পারবেন।
এ ছাড়াও একটি ছবি আঁকা প্রতিযোগিতারও আয়োজন করছে বিসিবি। যেখানে টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর ছবি আঁকবে প্রতিযোগিরা। দর্শকদের জন্য থাকবে হিট দ্য স্টাম্প চ্যালেঞ্জ।
আগামী ২১ জুন খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে রজতজয়ন্তী উদযাপনের শুরুটা হবে। এরপর ২২ জুন রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়াম, ২৩ জুন সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম ও ২৪ জুন চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে হবে এই আয়োজন।
২৫ জুন ধানমন্ডির রিয়া গোপ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সেও থাকবে রজতজয়ন্তীর আয়োজন। আর ২৬ জুন হোব ক্রিকেট বড় আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বিসিবির। ২৮ জুন রংপুর ও বরিশালে আয়োজনের ভেন্যু এখনও ঠিক হয়নি। ময়মনসিংহে বিভাগে আয়োজন রাখা হয়নি।
আরটিভি/এসআর