বোর্ডের সিদ্ধান্তে দ্বিমত নন আশরাফুল
ফিক্সিং ক্যালেঙ্কারিতে জড়িয়ে খেলার বাইরে ছিলেন দীর্ঘ সময় ধরে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ২০১৩ সালের আসরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ পরে এই মেয়াদ কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়।
পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে জাতীয় দলে ফেরার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও সেই ইচ্ছা যে এখন ধরা ছোঁয়ার বাইরে এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যানের জন্য সেটা নিজেও জানেন। তবু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
কদিন পরেই শুরু হবে ন্যাশলাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)। এখানে খেলতে হলেও এবার ফিটনেসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে সবাইকে। বিফ টেস্ট দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে তবেই খেলা যাবে এনসিএলে। গতবার বিপ টেস্ট মার্ক ৯ থাকলেও এবার সেটি করা হয়েছে ১১।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়বে জাতীয় দল, এইচপি দল কিংবা ‘এ’ দলের বাইরে যারা আছে।
এ নিয়ে অবশ্য চিন্তিত নন মোহাম্মদ আশরাফুল। কেন না, তিনি খেলার ভেতরই ছিলেন। ইংল্যান্ডের কেন্ট প্রিমিয়ার লিগে ব্ল্যাক হিটের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেছেন। ওই লিগে দলের হয়ে সবগুলো ম্যাচই খেলেছেন তিনি।
‘গত বছর আমার মার্ক ছিল ১১.৪। বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলা শুরুর সময় থেকে এখন পর্যন্ত আমার ফিটনেসে কোনও সমস্যা হয়নি। এবারও আশা করি যে বেঞ্চ মার্ক দেয়া হয়েছে সেটা করার চেষ্টা করবো।’
বিপ টেস্টে নির্দিষ্ট মার্কস উঠাতে অনেকেরই সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন আশরাফুল। তার দাবি, অনুশীলনে অসুবিধার কারণেই এই সমস্যায় পড়তে পারে অনেকে।
‘অনুশীলন করার জায়গাটা তো দরকার। ইনডোর বলেন, বৃষ্টি মৌসুম থাকে বেশিরভাগ সময়। ওই সময় প্র্যাকটিস করার জন্য একটা জায়গা দরকার। এই জায়গা পাওয়া যায় খুব কম।’
আশরাফুল আরও বলেন, বিপ টেস্টের মার্কটা ছিল ৯ থাকলেও এবার ১১ দেয়া হয়েছে। এটা আমাদের জন্য যারা ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছি। সবার মধ্যে একটি একটা আলোচনা হচ্ছে। ফ্রাস্ট-ক্লাস যারা খেলছি, সবাই যদি সুযোগ-সুবিধাটা পেত অফ সিজনে তাহলে ১১ দেয়া কোনও ব্যাপারই না। গত বছর আমি ১১.৫ পেয়েছিলাম। ওই সুযোগ সুবিধাটা কিন্তু আমরা পাই না। ন্যাশনাল টিম বা এইচপি, অনুর্ধ্ব-২৩ দলে যারা থাকে না তাদের জন্য কিন্তু কঠিন হয়ে যায়। একা একা ট্রেনিং করাটা।
এমআর/
মন্তব্য করুন