লকডাউনের কারণে দেশে আটকেপড়া প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট চালুর প্রথমদিনেই বাতিল হয়েছে বিদেশগামী যাত্রীদের ৭ টি ফ্লাইট। এমন পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রবাসী কর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। কর্তৃপক্ষ বলছে, অবতরণের অনুমতি না পাওয়া ও যাত্রী সংকটের কারণে ৭টি বিশেষ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিশেষ ফ্লাইট চালুর প্রথম দিনে মোট ১৪টি ফ্লাইট আসা ও যাওয়ার কথা ছিল।
এরমধ্যে ১০টি যাওয়া ফ্লাইটের মধ্যে ৫টি বাতিল করা হয়। আর আসার ৪টি ফ্লাইটের মধ্যে ২টি বাতিল করা হয়। আসা-যাওয়া মিলিয়ে মোট ৭টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুন... নবজাতক কন্যা সন্তানকে এনআইসিইউতে রেখে রিফাতের দাফন
ল্যান্ডিং পারমিশন পেতে বিলম্ব ও যাত্রী স্বল্পতায় ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছে বলে জানান শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল-আহসান।
তিনি বলেন, আশা করি রোববারের (১৮ এপ্রিল) মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে। ফ্লাইটও বাড়বে।
যাত্রী ভোগান্তির বিষয়ে সিভিল অ্যাভিয়েশন অবগত আছে। দেশটির এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে কতৃর্পক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।
বিমান সূত্র আরও জানায়, আজকে সৌদি আরবে বিমানের আরও কিছু ফ্লাইট যাওয়ার কথা ছিলো এবং সেগুলোও বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের নিজ নিজ কর্মস্থলে পৌঁছানোর সুবিধার্থে আজ শনিবার (১৭ এপ্রিল) ভোর থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহে সৌদি আরব, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে প্রায় ১০০টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। গত ১৫ এপ্রিল এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ১১ এপ্রিল বেবিচক জানায়, ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন চলাকালীন সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দেওয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন... করোনা রোগী আত্মহত্যার আগে চিরকুটে যা লিখেছেন
পরে গত ১৫ এপ্রিল এক আন্তঃমন্ত্রলায় বৈঠকে শনিবার থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহে সৌদি আরব, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে প্রায় ১০০টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের কারণে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার অভিবাসী শ্রমিকদের তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরার সুযোগ করে দিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়।
কেএফ