প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পর পুনরায় খনন করা হচ্ছে নড়াইলের আঠারোবাকি ও চিত্রা নদীর ৮৭ কিলোমিটার দীর্ঘ নৌপথ। একই সঙ্গে খনন করা হচ্ছে ৩৩টি খালের ৮৯ কিলোমিটার পথ।
নড়াইল ও খুলনার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে আঠারোবাকি ও চিত্রা নদী। ৩০ বছর আগে নদী দুটির গতি স্বাভাবিক থাকলেও কালের আবর্তে পলি জমে নাব্যতা হারায়। এতে নড়াইল, বাগেরহাট ও খুলনা অঞ্চলের ৪৩ হাজার হেক্টর জমি সবসময় জলাবদ্ধ থাকতো। এ অবস্থায় ২০১১ সালে নদী দুটি পুনরায় খননের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৬ সালে শুরু হয় খননের কাজ। এরই মধ্যে ৫৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য আঠারোবাকি নদীর ৪২ কিলোমিটার ফের খনন এবং ৭ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হচ্ছে। নৌপথ ও খালে নাব্যতা ফিরে আসায় খুশি নড়াইলবাসী।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি জানান, নদীগুলো খনন করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যাতে করে তারা এ ব্যাপারে সজাগ থাকে।
অন্যদিকে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ চিত্রা নদী খননের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। পাশাপাশি আবারো জীবন ফিরে পেয়েছে নদী সংলগ্ন ৩৩টি খালের ৮৯ কিলোমিটার পথ। ২০১৮ সালের জুনে নদী ও খাল খননের কাজ পুরোপুরি শেষ হবে।
খুলনা বিভাগের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, মজে যাওয়া নদী ও খালগুলো খনন করে ওদের জীববৈচিত্র ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। সেসঙ্গে এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করে মিঠা পানির আধার তৈরি করে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত করা যাবে।
নদী ও খাল পুন:খননে বদলে গেছে নদীবর্তী লাখো মানুষের জীবনযাত্রা। কৃষি জমির জলাবদ্ধতা কমার পাশাপাশি বেড়েছে ফসল ও মাছ উৎপাদন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, নদী খননের ফলে পাট উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। নদী থেকে পানি দিতে পারবো আমরা। অনেক জমি জলাশয় হয়ে রয়েছে। এই জমিগুলোতে এখন ফসল ফলানো যাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খননের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে শুধু নড়াইলবাসী নয় কৃষিক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষ।
জেবি/এসএস