ওয়াশিংটন-তেহরান উত্তেজনার ভেতর এবার নতুন করে মিসাইল উৎপাদনের ঘোষণা দিলো ইরান। ২৭ কিলোমিটার উচ্চতায় ‘সায়াদ তিন’নামের মিসাইলটি ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। শনিবার এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন তথ্য জানান দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হোসেইন দেহঘান।
তিনি জানান, মিসাইলটি ফাইটার জেট, ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল ও হেলিকপ্টারে আঘাত হানতে সক্ষম।
দেহঘান বলেন, আমেরিকা ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্প্রতি হওয়া ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক চুক্তিকে হুমকি হিসেবে দেখছে ইরান।
এদিকে ব্যালিস্টিক মিসাইল কর্মসূচি নিয়ে গেলো সপ্তাহে নতুন করে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে আমেরিকা।
বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কার্যক্রমের অভিযোগে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে দেশটি।
ইরানের বিরুদ্ধে নতুন এ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমেরিকার পররাষ্ট্র ও ট্রেজারি মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানায়, এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকছে ইরানের বিত্তবান ১৮ নাগরিক, গোষ্ঠী ও নেটওয়ার্ক।
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর কোনো সম্পদ আমেরিকায় থাকলে তা জব্দ করা হবে এবং তাদের সঙ্গে আমেরিকানদের ব্যবসা করা নিষিদ্ধ করা হবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে গেলো সোমবার মার্কিন কংগ্রেসে ইরানকে পরমাণু চুক্তি মেনে চলার স্বীকৃতি দিলেও ঠিক তার একদিন পর নতুন নিষেধাজ্ঞার কথা শোনালো ট্রাম্প প্রশাসন। ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে আমেরিকাসহ ছয় বিশ্বশক্তির পরমাণু চুক্তি হয়।
এ চুক্তির অন্য দেশগুলো হলো রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানি।
সোমবার ট্রাম্প প্রশাসন কংগ্রেসকে জানায়, ইরান পরমাণু চুক্তি মেনে চলছে। এপ্রিল মাসেও কংগ্রেসকে এমন তথ্য দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন।
কিন্তু চুক্তির গতিশীলতায় বাধা দেয়ার অভিযোগে সোমবার তাদের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেয় আমেরিকা।
ওয়াই/সি