চিন্তা ভাবনা করেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ চিন্তা ভাবনা করেই করা হয়েছে। অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে এ আইন করা হয়েছে। আগের আইসিটি অ্যাক্টটি বিএনপির সময়ে করা ছিল। যেখানে অনেক বিষয় অস্পষ্ট ছিল। নতুন আইনে বিষয়গুলো আরও স্পষ্ট করা হয়েছে।জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) গণমাধ্যমে যেভাবে বিভিন্ন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেন, তাতে তাদের মান-ইজ্জত থাকে না। তাদের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়। তারা তো জনপ্রতিনিধি।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে সম্মেলন কক্ষে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) নব নির্বাচিত কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিসিসিআই’র সভাপতি আবুল কাশেম খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: রাজনীতি নতুন মোড় নেবে ৮ ফেব্রুয়ারির পর : মোশাররফ
--------------------------------------------------------
প্রসঙ্গত, যেকোনো অনিয়ম-অসদাচরণ তুলে ধরতে সাংবাদিকরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান চালিয়ে থাকেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’তে সংযোজিত ৩২ ধারা সাংবদিকদের সেই জায়গা সংকুচিত করে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সাংবাদিক নেতা, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট, আইনজীবীরা।
তারা বলছেন, রাষ্ট্রীয় কোনো অনিয়ম তুলে ধরার জন্য এই আইনের ৩২ ধারা ব্যবহার করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনার সুযোগ আছে। সেটি সাংবাদিকের কাজের জায়গা সংকুচিত করে তুলবে।
যদিও সোমবার আইনটি পাস হওয়ার পর আইসিটি আইনের ৫৭ ধারাটিই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ৩২ ধারা হিসেবে ফিরে এলো কিনা— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, ‘না'। এ আইনে কোথাও কোনো ধারায় সাংবাদিকদের টার্গেট করা হয়নি।
আরও পড়ুন:
- রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভা কাল
- ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বই প্রকাশ করলে ব্যবস্থা
এমসি/এসআর
মন্তব্য করুন