কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে গুলি ছোড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গতকাল রোববার রাতে ও সোমবার ভোরে এই গুলি ছোড়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করে পুলিশ ও ছাত্রলীগ। এ সময় প্রথম দফায় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ছাত্রলীগ।
সোমবার সকালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি টিএসসি হয়ে বাংলা একাডেমির সামনে দিয়ে কার্জন হলের দিকে যায়।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : সকালে ফের সংঘর্ষ
--------------------------------------------------------
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই মিছিলে থাকা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই ঢাকা কলেজসহ শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে।
মিছিলটি কার্জন হল হয়ে শহীদুল্লাহ হলের ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় সেখানে অবস্থানরত বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মারধর করেন। এতে কয়েকজন আহত হন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে ধাওয়া করেন। এ সময় ছাত্রলীগের মিছিল থেকে বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।
ছাত্রলীগকে ধাওয়া দেয়ার পর আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বেরিয়ে দোয়েল চত্বর এলাকায় অবস্থান নেন এবং ছাত্রলীগের গুলির ঘটনায় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ক্যাম্পাসে মিছিল করেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবের প্রতিবাদে আমরা মিছিল বের করেছিলাম। আমাদের মিছিল থেকে গুলি ছোড়া হয়নি।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গতকাল রোববার রাত আটটা থেকে পুলিশের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হন। রাতে উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুর চালায় আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনরত অনেক ছাত্রী রোববার রাতে টিএসসির ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। তাঁরা রাতভর সেখানে অবস্থান করেন। সোমবার সকালে তাদের কয়েকজনকে হলে ফিরে যেতে দেখা যায়।
পি
