বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে সোনার খবর গণমাধ্যমে আসায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তারা বলছে, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরও সাবধান হওয়া উচিত ছিল।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে অনির্ধারিত বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি ড. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আবদুল ওয়াদুদ, ফরহাদ হোসেন ও শওকত চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ড. আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের সোনা নিয়ে নির্ধারিত আলোচনা ছিল না। তবে বিবিধ আলোচ্যসূচিতে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ভোল্টে সোনা ঠিক আছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআর-এর মধ্যে কিছু একটা ঝামেলা আছে। আমরা এনবিআরকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে যাই হোক ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সাবধান হওয়া উচিত। তারা যেটাই দাবি করুক এ ধরনের তথ্য গণমাধ্যমে কেন এল? এতে দেশে যেমন ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবেও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই আগামীতে আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে সংসদীয় কমিটিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনোভাবেই ভল্টের সোনা গায়েব হওয়ার সুযোগ নেই।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: এটাই দেশের সবচেয়ে বড় কুরবানির গরু!
--------------------------------------------------------
কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবির দাবি করেছেন, ভল্টে থাকা স্বর্ণের হেরফের হয়নি। কিছুটা হিসাবে গরমিল হয়েছে। মিডিয়াতে অতিরঞ্জিত করে খবর ছাপানো হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেছেন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক অনুসন্ধানের তথ্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি একটি দৈনিকে ভল্টের সোনা নিয়ে অভিযোগটি সামনে আসে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ৯৬৩ কেজি সোনা পরীক্ষা করে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনিয়ম ধরা পড়েছে। ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের সোনার চাকতি ও আংটি জমা দেওয়ার সময় যা ৮০ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা হিসেবে গ্রহণ করে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, দুই বছর পর তা পরীক্ষা করে ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ সোনা পাওয়া গেছে। আর ২২ ক্যারেটের সোনা হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট।
এ প্রতিবেদনের জেরে পরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, সোনায় কোনও হেরফের হয়নি।
গভর্নর ফজলে কবির এর আগে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ৬ স্তরের নিরাপত্তা রয়েছে, রয়েছে ৪২টি সিসি ক্যামেরা। সুতরাং সোনা হেরফেরের সুযোগ নেই। যা হয়েছে তা ভুল বোঝাবুঝি। কাস্টমস যেটুকু সোনা জমা রেখেছিল, তা সেই অবস্থাতেই আছে।
আরও পড়ুন:
এসআর