`সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি, সালমান শাহকে খুন করা হয়েছে। আমার হাজব্যান্ড করিয়েছে আমার ভাইকে দিয়ে, এটা সামিরার (সালমানের স্ত্রী) ফ্যামিলি করিয়েছে। আর সব ছিল চাইনিজ মানুষ।’রোববার ইউটিউবে রুবি নামে এক নারী এসব কথা বলে একটি ভিডিও প্রকাশ করছেন।
রাবেয়া সুলতানা রুবি নামে এই নারী দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়াতে চাইনিজ স্বামী ও দু’ সন্তানসহ বসবাস করছেন।
জানা যায়, সালমান শাহ এই নারীকে আন্টি সম্বোধন করতেন। তার একটি বিউটি পার্লার ছিল। সালমান ও সামিরার সঙ্গেও তার বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল।
সালমান মারা যাওয়া পর অনেকের মতো রুবিকেও পুলিশ সন্দেহ করে। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে সালমান ভক্তরা বরাবরই বলে আসছিলেন— সালমানের মৃত্যুর ব্যাপারে কিছু না কিছু জানেন রুবি।
সালমান মারা যাওয়ার পর থেকে রুবি বিদেশে বসবাস করছেন। ওই ভিডিওতে ভয় ভয় কণ্ঠে তিনি বলেছেন, সালমানকে খুন করা হয়েছিল। সামিরার ফ্যামিলি আর রুবির স্বামী এ খুনের সঙ্গে জড়িত। রুবির ছোট ভাই রুমিকে নিয়ে খুন করানো হয়। তার ধারণা পরে রুমিকেও মেরে ফেলা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, জীবন হারানোর আশঙ্কায় আছেন। তিনিই নাকি একমাত্র জীবিত মানুষ যার কাছে প্রমাণ আছে যে- সালমানকে খুন করা হয়েছে। তাই তাকেও মেরে ফেলা হতে পারে। কেন খুন করা হতে পারে রুবিকে? তিনি বলেন, ‘কারণ আবার (সালমানের মৃত্যুরহস্য) কেস ওপেন হয়েছে।’
রুবির দাবি, সালমানের অন্য হত্যাকারীদের মধ্যে কয়েকজন চীনা নাগরিক ছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি সালমানের শাশুড়ি লুসি ও নিজের স্বামীর দিকে ইঙ্গিত দেন।
বাংলার ইতিহাস সৃষ্টিকারী নায়ক সালমান ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। এটি খুন না আত্মহত্যা এ নিয়ে গেলো দুই দশক ধরে বিতর্ক চলছে।
এইচএম