সিরিয়ায় সাত বছরের বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে বেশ কয়েকবার এই বিতর্কটি সামনে এসেছে। আর সেটি হচ্ছে সিরিয়ায় আসাদ সরকার কী আসলেই রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা চালিয়েছে কিনা?
সবশেষ গেলো শনিবার পূর্ব ঘৌটার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ডৌমা শহরে সন্দেহভাজন রাসায়নিক অস্ত্র হামলার খবরের পর এই বিষয়টি নতুন করে সামনে এলো। যদিও আসাদ সরকার ডৌমায় ওই হামলার বিষয় অস্বীকার করেছে। তারা ওই অভিযোগকে ‘অতিরঞ্জিত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
বাশার আল আসাদের বিরোধীরা অবশ্য সিরিয়ার সরকারি ভাষ্য মানতে নারাজ। পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেন শুক্রবার রাতে হামলার আগে বেশ কয়েকবার রাসায়নিক হামলার অভিযোগ তোলে। ফ্রান্স ও ব্রিটেন সিরিয়ায় হামলার ব্যাপারে আসাদ সরকারকে সতর্কও করে দেয়।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সতর্ক করলো ইরান
--------------------------------------------------------
এদিকে সিরিয়া সরকার জোর দিয়েই বলেছে, ২০১৩ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যে চুক্তি হয়েছিল, তার অধীনেই সব রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। যদিও পরে রাসায়নিক অস্ত্র হামলার আরও অভিযোগ পাওয়া যায়।
এদিকে জাতিসংঘ এবং রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই চুক্তির পর কমপক্ষে চারটি রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালিয়েছে আসাদ সরকার। যেগুলোর মধ্যে গেলো বছরের এপ্রিলে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত খান শেখউন শহরে সারিন নার্ভ গ্যাস হামলায় ৮০ জন নিহত হন।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক গ্রুপ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানাচ্ছে, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৫৩ হাজার নয়শ’ মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে এক লাখ ছয় হাজারই বেসামরিক ব্যক্তি। তবে নিখোঁজ ও সম্ভাব্য মৃত ব্যক্তিদের নাম ওই তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হয়নি। ওই সংখ্যাটাও প্রায় ৫৬ হাজার নয়শ’ জন। এছাড়া আরও প্রায় এক লাখ ব্যক্তির মৃত্যুর তালিকা করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন :
এ