যখন উত্তর প্রদেশের উন্নাও এবং জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ার ধর্ষণের ঘটনাতে উত্তাল ভারত, তখন সামনে এলো আরও ৩টি শিশু ধর্ষণের অভিযোগ। এর মধ্যে অজ্ঞাতনামা এক শিশুকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে।
গত এক সপ্তাহের মধ্যে গুজরাটে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৩টি। এর মধ্যে দুটি সুরাটে এবং একটি তাপিতে।
গত ৬ এপ্রিল সুরাটের পান্ডেসারা থানার জিয়াভ-বুধিয়ায় রাস্তার ধারে ঝোপের পাশ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, শিশুটিকে ধর্ষণের পর গলা টিপে খুন করা হয়।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, বেশ কয়েক দিন ধরে ওই শিশুর ওপর শারীরিক অত্যাচারের পাশাপাশি ধর্ষণও করা হয়। প্রায় ৮৬টি ক্ষতের চিহ্ন মিলেছে তার শরীরে। এখনও শিশুটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
গত মঙ্গলবার সুরাটের সায়ন গ্রামে ঘটে আরেকটি ধর্ষণের ঘটনা। ওইদিন কাজ সেরে বাড়িতে ফেরার সময় রাস্তা থেকে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় এক কিশোর। একটি নির্জন খামারে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
ধর্ষণের অভিযোগে এই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর শরীরে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এই দুটি ঘটনার রেশ শেষ না হতেই তাপি জেলার এক আদিবাসী তরুণীকে অপহরণের পর সুরাটের এক জায়গায় আটকে রাখে তার গ্রামের উচ্ছ্বল তালুক। দুই সপ্তাহ ধরে তাকে ধর্ষণ করেন তিনি।
পরে তরুণীটিকে তার গ্রামে রেখে পালিয়ে যান উচ্ছ্বল তালুক। এখনও অভিযুক্তকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
কে/পি