কী খেলে কমবে ফুড পয়জনিং?
রাস্তার পাশের লোভনীয় খাবার খেতে সবাই পছন্দ করেন। কিন্তু বিপত্তি বাধে তখনই যখন পছন্দের খাবারটি চেখে দেখার কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় ভয়াবহ পেট ব্যথা। সাথে হয় ঘন ঘন বমি। এ সময় কোনো খাবার পেটে থাকে না। ডায়রিয়া হয়, বারবার বাথরুমে যেতে হয়। ডিহাইড্রেশন দেখা যায়। ক্লান্ত লাগে, কোনো কাজে উৎসাহ পাওয়া যায় না। অনেক সময় জ্বর হয়। এ দুর্বিষহ অবস্থা থেকে বাঁচার কিছু ঘরোয়া সমাধান আছে। চলুন জেনে নেই।
ক) আদা সেবন করলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সেই সাথে এটা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও সহায়তা করে। বেশি বেশি আদা চা খান এই সময়ে। সাথে মিশাতে পারেন একটু মধু।
খ) আপেল সিডার ভিনেগার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা মোকাবেলা করার পাশাপাশি ফুড পয়জনিংয়ের ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে। দুই টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক কাপ গরম পানির সাথে মিশিয়ে খালিপেটে সেবন করুন। সাথে সাথে ভালো লাগবে।
গ) লেবু অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি, অ্যান্টি ভাইরাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকার কারণে ফুড পয়জনিং কমাতে সাহায্য করে। লেমন জুসে অল্প একটু চিনি মিশিয়ে দৈনিক দুই তিনবার সেবন করুন। কাজে দেবে। এছাড়াও শুধু গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ও খেতে পারেন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: পারফিউমের গন্ধ ধরে রাখবেন কীভাবে
--------------------------------------------------------
ঘ) তুলসী পাতা ফুড পয়জনিংয়ের যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। তুলসী পাতার রস বের করে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে কয়েকবার সেবন করতে পারেন। চাইলে অল্প একটু ধনে পাতার রস ও যোগ করতে পারেন। আরেকটি উপায় হচ্ছে চার কাপ গরম পানির সাথে কয়েক ফোটা তুলসী তেল মিশিয়ে ও খেতে পারেন। পেট ব্যাথা ও অন্যান্য সমস্যা কমে যাবে।
ঙ) এক কোয়া কাচা রসুন চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। রসুনের উৎকট গন্ধ সহ্য করতে পারলে রসুনের জুস বানিয়ে ও খেতে পারেন।
চ) এক চা চামচ জিরার সাথে এক কাপ পানি মিশিয়ে সাথে একটু ধনে পাতার জুস ও লবন যোগ করে দিনে দুইবার খান। আরাম পাবেন।
ছ) মধু লাগে সব কাজে। দিনে তিনবার একচামচ করে মধু খেলে সমস্যাটি কেটে যাবে।
তবে সবকিছু করার আগে বেশি বেশি স্যালাইন খাওয়াটা সবচেয়ে জরুরি।
আরও পড়ুন:
কেএইচ/এম
মন্তব্য করুন