কোনো তদন্ত না করেই বলা হলো অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপি। এটা চক্রান্তের অংশ। অথচ যারা ধরা পড়লো সবাই আওয়ামী লীগের লোক। এটি আওয়ামী লীগেরই কাজ। জাফর ইকবালের ওপর হামলার দায় বিএনপির উপর চাপিয়ে সরকার দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছে।
বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান সহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ।
তিনি আরও বলেন, সরকার আবারও একটি অবৈধ নির্বাচন আয়োজন করতে চায়। কিন্তু তা ব্যর্থ হবে। খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। অন্যথায় বাংলার মানুষ মেনে নেবে না।
এসময় মির্জা ফখরুল আসন্ন নির্বাচনে কয়েকটি শর্ত তুলে দেন। যার মধ্যে রয়েছে- সকল মামলা প্রত্যাহার, খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দেয়া, সেনাবাহিনী মোতায়েন করা এবং সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া।
তিনি আরও বলেন, এ আন্দোলন শুধু খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন নয়, গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলন, দেশের মানুষকে মুক্ত করার আন্দোলন। আমরা তাই আহ্বান জানাই, আসুন ঐক্যবদ্ধ হোন, জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দেশকে রক্ষা করুন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাবন্দী রয়েছেন। তার মুক্তির দাবিতে দলটি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
এর আগে কয়েক দফায় বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন, অবস্থান, গণঅনশন, গণস্বাক্ষর অভিযান, স্মারকলিপি পেশ, কালোপতাকা প্রদর্শনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে দলটি।
আরও পড়ুন:
এমসি/পি