২ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৩৮ রানে শেষ হলো শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস। শুভাশিস রায়ের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ব্যক্তিগত ৩৫ করে সুরঙ্গা লাকমল সাজঘরে ফিরলে শেষ হয় স্বাগতিকদের এ ইনিংস।
কলম্বোর পি সারা ওভালে বাংলাদেশের শততম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দলীয় ২৫০ রানে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ২৫ রানে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথ। এ রানে অষ্টম উইকেটের পতন ঘটলেও লড়াই চলতে থাকে দিনেশ চান্দিমালের। সুরঙ্গা লাকমলকে নিয়ে দলের রান বাড়িয়ে চলেন তিনি। তুলে নেন ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরিও। ২৪৪ বলে ১০০ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ১৩৮ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরই সঙ্গে তার মহাকাব্যিক ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। ১০ চার ও ১ ছক্কায় এ ইনিংস খেলেন দলের প্রথম ইনিংসের প্রাণভোমরা।
সঙ্গী হারিয়ে বেশ মারমুখী হয়ে ওঠেন লাকমল। হাঁকাতে থাকেন একের পর এক বাউন্ডারি। এ অবস্থায় তাকে থামাতে সক্ষম হন শুভাশিস রায়। শেষ পর্যন্ত ৩৩৮ রান তুলতে সক্ষম হয় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে মিরাজ ৩টি এবং ২টি করে উইকেট নেন সাকিব, মুস্তাফিজ ও শুভাশিস।
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্টের প্রথম দিনে ছিল টাইগারদের আধিপত্য। দিনেশ চান্দিমাল ছাড়া লঙ্কানদের আর কোনো ব্যাটসম্যানকে বেশিক্ষণ থিতু হতে দেননি বোলাররা। প্রথম দিন শেষে ৭ উইকেটে ২৩৮ রান তুলতে পারে স্বাগতিকরা। বৃষ্টির আশঙ্কায় ওই দিন খেলা হয় ৮৩.১ ওভার।
বাংলাদেশের স্মরণীয় টেস্টের প্রথম দিনের শুরুতে শ্রীলঙ্কা শিবিরে প্রথম ছোবল মারেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। দলীয় ১৩ রানে ব্যক্তিগত ৭ রান করা ওপেনার দিমুথ করুনারত্নেকে মেহেদি হাসান মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান তিনি। ওয়ানডাউনে নামা ও গেলো ম্যাচের সুপারস্টার কুশল মেন্ডিসকেও বেশি দূর আগাতে দেননি অফস্পিনার মিরাজ। মাত্র ৫ রান করেই তাকে ফেরান তিনি। এ অবস্থাতেই আরেক ওপেনার উপুল থারাঙ্গাকে সৌম্যর ক্যাচ বানিয়ে ফেরান অফস্পিনার। এতে এক পর্যায়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৩৫ রান।প্রথম সেশন শেষ হবার আগেই নতুন ব্যাটসম্যান আসেলা গুনারত্নেকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে শুভাশিস রায় ফিরিয়ে হুঙ্কার ছুঁড়ে টাইগাররা। তবে একপ্রান্ত আগলে রাখেন দিনেশ চান্দিমাল। লাঞ্চের পর ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান তিনি।
তবে এ যাত্রায় বাধ সাধেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ধনঞ্জয়াকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান তিনি। এর আগে চান্দিমালের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়েন ধনঞ্জয়া। এরপর নিরোশান ডিকভেলাকে সঙ্গী করে লড়াই চালিয়ে যান চান্দিমাল। তবে ব্যক্তিগত ৩৪ রানে ডিকভেলাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান সাকিব। ডিকভেলার বিদায়ের পর নতুন ব্যাটসম্যান দিলরুয়ান পেরেরাকে ৯ রানের বেশি করতে দেননি মুস্তাফিজ। দিনশেষে ব্যক্তিগত ৮৬ রানে চান্দিমাল ও ১৮ রানে অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথ অপরাজিত থাকেন।
ডিএইচ