সিনহা হত্যায় সাক্ষীদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে র্যাব
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার প্রাথমিক তদন্তে সাক্ষী হিসেবে রাখা পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য প্রমাণ পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়া তিন স্বাক্ষীর মধ্যে একজন কমিউনিটি পুলিশের সদস্য। তিনি ঘটনার আগেই ফাঁড়ির ইনচার্জের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা হত্যার বিষয়ে আগে থেকেই জানতেন এবং হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজন্য তাদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে আনা হয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
র্যাব গেলো মঙ্গলবার মো. নুরুল আমিন, আয়াছ উদ্দিন ও নিজাম নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে। যারা সিনহা রাশেদ খানেক গুলি করে হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী ছিল।
তবে সাক্ষী নুরুল আমিনের মা অভিযোগ করেছেন সোমবার বিকালে সাদা পোশাকে একদল লোক তার ছেলে এবং অপর দুই সাক্ষী আয়াছ ও নিজামের সঙ্গে কথা বলেছে। এক পর্যায়ে তারা তিন জনকেই কালো গ্লাসের একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার নুরুল আমীনের মা খালেদা বেগম টেকনাফ থানায় একটি অপহরণ মামলা (নম্বর- ১৯) দায়ের করে। এর একদিন পর র্যাবের পক্ষ থেকে এই তিন জনকে গ্রেফতারের কথা জানানো হয়। তিন সাক্ষীকেই আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
র্যাব কর্মকর্তা আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এই মামলাটি র্যাব তদন্ত করছে। তদন্ত কর্মকর্তা মনে করেছেন এই মামলার তিন সাক্ষী মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। আসামিদের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন:
এসজে
মন্তব্য করুন