ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক দেনা-পাওনার ঊর্ধ্বে: রীভা গাঙ্গুলি
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদার এবং এই সহযোগিতা নিছক দেনা-পাওনার ঊর্ধ্বে, যা বিশ্বাস ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে রচিত। মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। শুক্রবার ভারতীয় হাইকমিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশন ‘মহাত্মা গান্ধী স্মরণে’ শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারের আয়োজন করে। আগামী ০২ অক্টোবর দুই বছরব্যাপী মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের সমাপ্ত হবে।
সেমিনারে ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, নোয়াখালী, জামালপুর, আত্রাই এবং দোহারের গান্ধী আশ্রমগুলো বাংলাদেশে গান্ধীজীর আদর্শের মশাল বাহক। তিনি মহাত্মা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উভয়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদার এবং এই সহযোগিতা নিছক দেনা-পাওনার ঊর্ধ্বে, যা বিশ্বাস এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে রচিত। তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী এবং দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী সম্মিলিতভাবে উদযাপনের প্রত্যাশায় রয়েছে।
ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার বলেন, আমি একই প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের সমস্ত গান্ধী আশ্রমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আনন্দিত। তিনি ভারত ও বাংলাদেশের এই অভিন্ন ইতিহাস রক্ষার জন্য এবং বন্ধুত্বের এই লালিত বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করার জন্য তাদের সবাইকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান।
সেমিনারে অংশ নেন নোয়াখালীর সংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহিম, গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সভাপতি স্বদেশ রায়, মহাত্মা গান্ধী স্মারক সদনের সভাপতি সৈয়দ আবুল মকসুদ, নোয়াখালী গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের পরিচালক নব কুমার রাহা, আত্রাই গান্ধী আশ্রমের অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, জামালপুর গান্ধী আশ্রমের হিল্লোল সরকার এবং দোহার গান্ধী আশ্রমের মো. ফজলুল হক।
এমপি এইচএম ইব্রাহিম কিভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাত্মা গান্ধীর দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, তা স্মরণ করেন। স্বদেশ রায় বিশ্বব্যাপী মহামারির মধ্যে পল্লী উন্নয়নের ভিত্তিতে গান্ধীজীর উন্নয়ন মডেলের গুরুত্ব তুলে ধরেন। সৈয়দ আবুল মাকসুদ বলেন, তরুণ প্রজন্মকে গান্ধীবাদী আদর্শকে জানা এবং বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নব কুমার রাহা নোয়াখালী গান্ধী আশ্রমের মাধ্যমে সমাজের অনগ্রসর শ্রেণির জন্য পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রমের বর্ণনা দেন। ১৯৩০ সালে জামালপুরে গান্ধী আশ্রম শুরু করার জন্য নাসিরউদ্দিন সরকার কীভাবে গান্ধীজীর মূল্যবোধ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, তা স্মরণ করে বক্তব্য দেন হিল্লোল সরকার। আত্রাই গান্ধী আশ্রম বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে কীভাবে মানুষকে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে, তা বর্ণনা করে অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানান।
এ
মন্তব্য করুন