নানিকে খুন করে ১৮ মাসের নাতনি মণীষাকে বিক্রি করে লিটন কুমার নামের ব্যক্তি। জানালেন ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের উপ কমিশনার শেখ নাজমুল।
তিনি বলেন, শিশু মণীষাকে বিক্রির জন্য তার নানি পুষ্প রানী দাসকে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিচ্ছিল লিটন কুমার। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় হত্যার পরিকল্পনা করে সে। এর অংশ হিসেবে গেলো ১৮ এপ্রিল উত্তরার একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে রানীকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে মণীষাকে নিয়ে যায়।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লিটন জানিয়েছে; এক দম্পতিকে শিশু দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। আর সেজন্য পুষ্প রানীকে হত্যা করে শিশুটি অপহরণ করে।
লিটনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মণীষাকে মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানাধীন বড়লীদহ গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটি প্রশান্ত কুমার দাস ও পান্না দাস দম্পতির কাছে ছিল। নানি পুষ্পকে হত্যার পর তাদের কাছেই টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে তুলে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, লিটনের শ্বশুরের সঙ্গে পুষ্প রানীর বাবার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সেই কারণে তারা আগে থেকেই পরিচিত ছিল।
গেলো ১৮ এপ্রিল উত্তরার এক আবাসিক হোটেল থেকে পুষ্প রানী দাসের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় হত্যা মামলা করা হয়। পরে গেলো ২৪ এপ্রিল কমলাপুর রেলওয়ে এলাকা থেকে আটক করা হয় লিটন কুমারকে।
এর আগে গেলো ১৭ এপ্রিল লিটন ও পুষ্প রানী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে উত্তরা এলাকার এক আবাসিক হোটেলে ওঠেন। এরপর রাত ২টার দিকে পুষ্প রানীকে গলা কেটে হত্যার পর নাতনি মণীষাকে নিয়ে পালিয়ে যান।
এইচটি/ডিএইচ