ইরানের প্রেসিডেন্ট পদে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
আজ (শুক্রবার)স্থানীয় সময় সকাল থেকেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এ নির্বাচনে মধ্যপন্থী প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এবং কট্টরপন্থী ধর্মগুরু ইব্রাহীম রাইসির মধ্যে মূল লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের এ ১২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় প্রবাসে অবস্থানরত ইরানি নাগরিকদের জন্য বিশ্বের ১০২টি দেশে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব দেশে ভোটগ্রহণের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ৩১০টি কেন্দ্র।
৬৮ বছরের রুহানির বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ থাকলেও সবশেষ জনমত জরিপে ৫৫ শতাংশের সমর্থন পেয়ে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রাইসির চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। খবর এএফপির।
ইরানের সংসদীয় ও প্রবাসী বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হাসান কাশকাভি বৃহস্পতিবার জানান, আমেরিকায় ৫৫টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২১টি, ইরাকে ২২ এবং ব্রিটেনে ১২টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। তবে কানাডা প্রবাসী ইরানি নাগরিকদের ভোটগ্রহণের জন্য দেশটিতে কোনো কেন্দ্র স্থাপন করা যায় নি; তাদের জন্য আমেরিকা সীমান্তে কিছু কেন্দ্রে ভোট দেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
কাশকাভি জানান, প্রবাসে অবস্থানরত ইরানি নাগরিকরা স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট দিতে পারবেন এবং ভোটগ্রহণ শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়। তবে প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট দেশে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত ভোটগ্রহণের সময় বাড়াতে পারবেন।
চার প্রার্থীর মধ্যে প্রধান দু’প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন- বর্তমান প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি ও ইরানের বিচার বিভাগের সাবেক উপ প্রধান সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি।
এবারের নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী ছিলেন। তবে সোমবার তেহরানের মেয়র মোহম্মদ বাগের গলিবাফ সরে দাঁড়িয়ে রাইসির পক্ষ নেন। অন্যদিকে সংস্কারপন্থী এসহাক জাহাঙ্গিরি সরে দাঁড়িয়ে রুহানির প্রতি সমর্থন জানান। স্বাভাবিকভাবেই লড়াইয়ের শেষ লগ্নের এ প্রাপ্তি দুয়ের পাল্লা একটু ভারি করছে।
ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবির রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে ৭২ শতাংশ ভোটার অংশ নেবেন। ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুর রেজা রাহমানি ফাজলি বলেন, শুক্রবারের প্রেসিডেন্ট ও সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা পাঁচ কোটি ৬৪ লাখ ১০ হাজার ২৩৪ জন।
নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাড়ে তিন লাখ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হবে। এছাড়া সারাদেশে ৬৩ হাজার ৪২৯টি ভোট কেন্দ্রে ভোট নেয়া হচ্ছে। কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে ভোট গ্রহণ দ্বিতীয় রাউন্ডে গড়াবে। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী লড়বেন শেষ পর্বের ওই নির্বাচনে। দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ২৬ মে।
এপি/জেএইচ