ঢাকারোববার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

পাসের হারের পাশাপাশি পাসশূন্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বাড়ছে (ভিডিও)

আতিকা রহমান

শনিবার, ২০ মে ২০১৭ , ০১:৪৭ পিএম


loading/img

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গেলো কয়েক বছরে পাসের হার ছিল আকাশচুম্বী। স্বাধীনতার পর ইতিহাস গড়ে পাসের হার গিয়ে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত ঠেকেছে। কিন্তু পাসের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেউ পাস করেনি বা পাসশূন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বাড়ছে।

বিজ্ঞাপন

এ বছর ১০টি শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তবে সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে অধীনে ৯৩টি ও মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৮৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি!

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর বলেন, পাসশূন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাড়ার পেছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি কাজ করছে। এর পাশাপাশি না পড়িয়ে সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করার একটা চক্রান্ত কারো কারো মধ্যে আছে। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি দুষ্টচক্র হয়তো গড়ে উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

এই দুষ্টচক্রকে ভেঙে দেয়ার জন্য সরকারিভাবে পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ঢালাওভাবে পাস হচ্ছে, অসংখ্য জিপিএ-৫। কিন্তু হোঁচট খাচ্ছে উচ্চপর্যায়ে ভর্তি হবার সময়। তার মানে প্রশ্নটা হলো, আমাদের মূল্যায়ন পদ্ধতিটা সঠিক কি না?

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান বলেন, পাসশূন্য প্রতিষ্ঠাগুলোকে আমরা জবাবদিহিতার আওতায় আনবো। তাদের সক্ষমতা যাচাই করে দেখেছি আমরা। কিছু প্রতিষ্ঠানকে শর্তসাপেক্ষে ছাড় দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, যদি এক বছরেও প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্র সংখ্যা, পরীক্ষার্থী সংখ্যা ও পাসের হার সন্তোষজনক না হয়, তবে এগুলোর বেশিরভাগই বাতিল হয়ে যাবে। সরকার এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পেছনে অনেক টাকা-পয়সা ব্যয় করে। তারপরও কেন পাসের সংখ্যা শূন্য হবে?

মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম ছায়েফ উল্লাহ বলেন, পাসশূন্য মাদরাসাগুলোর মধ্যে ১৩টি এমপিওভুক্ত। এগুলো সরকারের দান-অনুদানে পুষ্ট। কেন এমন অবস্থা সেজন্য পাসশূন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারণ দর্শাতে হবে।

তিনি বলেন, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোর কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক হবে না, আমরা সেগুলো পাঠদানের অনুমতি বাতিল করার জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা কামনা করবো।

 

কে/এমকে 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |