রমজানে কাঁচা মরিচের চাহিদা থাকায় দাম হয় আকাশচুম্বী। কৃষক থেকে বিভিন্ন হাত ঘুরে মরিচের দাম বাড়ে দুই থেকে তিনগুণ। এক্ষেত্রে কৃষক ও ভোক্তা দু’পক্ষ বঞ্চিত হলেও লাভের অংশ লুফে নেয় মধ্যস্বত্বভোগীরা।
মানিকগঞ্জের শিমুলিয়া গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন। চাষের জমি হিসেবে নিজের দুই বিঘা জমি। আর সেই জমিতেই কাঁচা মরিচের চাষ কওে দু:শ্চিন্তায় আছেন তিনি। কারণ চাষ করে যে টাকা খরচ হয়েছে মরিচ বিক্রি করে সেই টাকা পাবেন কিনা?
আমজাদের মতো চিন্তিত শিমুলিয়া ইউনিয়নের অনেক কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার হাটবার। এলাকার সব কৃষকই মরিচ বিক্রি করবেন হাটে । ক্ষেত থেকে মরিচ তুলতে কৃষকের কেজি প্রতি খরচ ৪ টাকা ও পরিবহন খরচ আরও ২ টাকা। আমজাদ হোসেনের ছেলে রাজুর সঙ্গে বরংগাইলের হাটে পৌঁছলো আরটিভি রিপোর্টার।
সেখানে বাজার কমিটির চাঁদা, আড়ৎদারের টাকা, শ্রমিক বাবদ ও পরিবহন খরচসহ পাইকারি ক্রেতার কেজিপ্রতি মরিচে খরচ হলো আরও ৬ টাকা। সব মিলিয়ে মরিচের মূল্য ঠেকলো ২০ টাকায়।
সেই মরিচ খুচরা বিক্রেতারা কিনলেন ২৬ থেকে ২৮ টাকা কেজিতে। পরিবহন এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য খুচরা খরচ বাবদ বিক্রেতার খরচ হয় কেজি প্রতি আরো দুই থেকে ৩ টাকা। সব মিলিয়ে মরিচের দাম দাঁড়াল ৩১ টাকায়।
তবে রাজধানীর খুচরা বাজারে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। ৩১ টাকার কাঁচা মরিচ বাজার বেঁধে ক্রেতার কাছে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত।
আরকে