চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ২৬৫ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বার্মিংহামের এজবাস্টনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান সংগ্রহ করে মাশরাফির দল।
বাংলাদেশের হয়ে ৮২ বলে সর্বোচ্চ ৭০ রান করে ওপেনার তামিম ইকবাল। আর ৮৫ বলে ৬১ রান করেন মুশফিকুর রহিম।
ভারতের বোলারদের মধ্যে জসপ্রিত বুমরা, ভুবেনেশ্বর কুমার ও কেদার জাদব নেন দু’টি করে উইকেট। রবিন্দ্র জাদেজা নিয়েছেন ১ টি উইকেট।
তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমের শতরানের জুটির পর বড় সংগ্রহের দিকে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। দলের সংগ্রহ তখন ১৫৪ ঠিক তখনই কেদার জাদবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ৮২ বলে ৭০ রান করা তামিম ইকবাল।
সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম ২৩ রানের জুটি গড়েন। ২৩ বলে ১৫ রান করে রবিন্দ্র জাদেজার বলে ধোনির হাতে আত্মসমর্পণ করেন সাকিব।
এক ওভার পরেই জাদবের বলে ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মুশফিকুর রহিম।
এর আগে সৌম্য সরকারকে নিয়ে ইনিংস শুরু করেন তামিম। শুরুতেই ভুবেনশ্বর কুমারের আঘাত। দলীয় ১ রানে পুরো আসরে নিজের ছায়া হয়ে থাকা সৌম্য হতাশ করে ফেরেন শূন্য রানে।
এরপর সাব্বির নেমে পাল্টা আঘাত হানেন ভারতীয় বোলারদের উপর। কিন্তু চারটি বাউন্ডারিতে ২১ বলে ১৯ করে সাব্বির বিদায় নিলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এর পর মুশফিককে নিয়ে ধীরে সুস্থে ইনিংস মেরামতের কাজ করেন তামিম।
সময় গড়ানোর সাথে সাথে তারাও হাত খুলে খেলা শুরু করেন। বাংলাদেশকে চাপে ফেলা ভারত উল্টো নিজেরা চাপে। তামিমের পর অর্ধ শতক তুলে নেন মুশফিকুর রহীম।
এ ম্যাচে টাইগার একাদশে কোন পরিবর্তন নেই। নিউজিল্যাণ্ডের বিপক্ষে উইনিং স্কোয়াড নিয়েই ভারতে বিপক্ষে মাঠে নেমেছে মাশরাফি, সাকিবরা। অন্যদিকে ভারতও অপরিবর্তিত দল নিয়ে মাঠে নামছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে বাংলাদেশের ভাবনায় ছিলা না সেমিফাইনালে খেলা। তবে বৃষ্টি ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয় সেই পথ তৈরি করে দেয়।
বাংলাদেশ দল:
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাশরাফি বিন মর্তুজা, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
ভারত দল:
রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), যুবরাজ সিং, মহেন্দ্র সিং ধোনি (উইকেটরক্ষক), হার্ডিক পান্ডে, কেদার জাদব, রবিন্দ্র জাদেজা, ভুবেনেশ্বর কুমার, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও জসপ্রিত বুমরা।
ওয়াই