আজ ঈদ পরবর্তী ষষ্ঠ দিন। যারা ঈদ উপলক্ষে রাজধানী ছেড়েছিলেন তারা ফিরছেন সবায়। এতে ঢাকা ফিরে পাচ্ছে তার চিরচেনা রূপ। সঙ্গে শুরু হয়েছে দুর্ভোগ। ফেরার পথে ট্রেনের বগিগুলোর ভেতরেও ছিল প্রচণ্ড গাদাগাদি।
নিষেধ সত্ত্বেও বিভিন্ন জেলা থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন ছাদ বোঝাই করে যাত্রী নিয়ে আসে। আবার বেশ কয়েকটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ও ভুগিয়েছে যাত্রীদের। নির্ধারিত সময়ের দেড়-দুই ঘণ্টা পর ঢাকায় আসে এসব ট্রেন।
নৌপথেও রাজধানীতে আসছে দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষ। যাত্রী বোঝাই হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই ছেড়ে রাত পোহাতেই ঢাকায় পৌঁছে বেশির ভাগ লঞ্চ।
অন্যদিকে, সড়কপথে রাজধানীতে ফিরে আসা বাসযাত্রীদের দিতে হয়েছে বাড়তি ভাড়া। যানবাহন না পেয়ে হেটেই রওয়ানা হন অনেকে। আর যারাও পেয়েছেন তাদের সবাইকে গুনতে হয়েছে বাড়তি ভাড়া।
তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছিলও না তেমন যানজট। নির্বিঘ্নেই গন্তব্যে ফিরছে মানুষ। মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের ১০৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সকাল থেকে কোথাও কোনো যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়নি। ব্যস্ত এলাকাগুলোতেও বাড়তি চাপ নেই যানবাহনের।
তবে সেতুর কারণে প্রতিদিনের মতো আজও মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ এর কাঁচপুর এলাকাতে ছিল যানবাহনের চাপ।
আরকে/সি