মুসলিম ধর্মালম্বীদের দ্বিতীয় কাবা হিসেবে পরিচিত আল আকসা মসজিদে মেটাল ডিটেক্টর বসানো ও যুবকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ চলছে। এবার আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণের প্রবেশমুখে ক্যামেরা বসিয়েছে ইসরাইল।
এর আগে এক হামলায় দু’জন ইসরাইলি পুলিশ নিহত হবার পর সেখানে মেটাল ডিটেক্টর বসিয়েছিল যার তীব্র প্রতিবাদ করে আসছে ফিলিস্তিনি মুসলিমরা।
ফিলিস্তিনদের চোখে এ পবিত্র স্থানের ওপর দখলদার ইসরাইলিদের আরো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা এটা। পূর্ব জেরুজালেমের বাসিন্দা আয়াত আবু লিদবাহ বলেন, এসব নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফলে মুসলিমদের এখানে নামাজ পড়ায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
মেটাল ডিটেক্টর গেটগুলোর ব্যাপারে তিনি বলেন, এসব গেট আমাদের ধর্মের ওপর প্রভাব ফেলছে। এটা একটা পবিত্র জায়গা এবং সে কারণেই এগুলো সরিয়ে ফেলা উচিত। আমরা এখানে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে যাই, এখানে প্রবেশে বিরত রাখার জন্য কোনো গেট থাকা উচিত নয়।
আজমি হাশিম নামে আরেকজন বলেন, এটা একটা খুবই স্পর্শকাতর জায়গা। এখান থেকেই শান্তির শুরু এবং শেষ। গোটা পৃথিবীই যদি শান্তিতে থাকতে চায়, তাহলে তার শুরু এখানেই।
এ ইলেকট্রনিক গেট বসানো নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে যে উত্তেজনা দানা বেঁধেছিল তার চূড়ান্ত রূপ পায় শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে তিন জন ইসরাইলি।
এরপর ইসরাইলের মনোভাবে একটা পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যায়। একজন ঊর্ধ্বতন ইসরাইলি কর্মকর্তা মুসলিম বিশ্বের প্রতি বিকল্প নিরাপত্তা পদক্ষেপ কী হতে পারে তার প্রস্তাব দেবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এগুলো ইসরাইল বিবেচনা করবে। এখন ওই এলাকায় নতুন নিরাপত্তা ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমেও আভাস দেয়া হচ্ছে এর ফলে হয়তো মেটাল ডিটেক্টর সরিয়ে নেয়া সম্ভব হতে পারে। তবে ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে ফিলিস্তিনিদের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।
এপি/কে