ঈদ পোশাকের বাজারেও লেগেছে দামের আগুন। গত বছরের তুলনায় পাইকারি থেকে কয়েকগুন বেশি দামে পোশাক সংগ্রহ করতে হয়েছে বিক্রেতাদের। ফলে ক্রেতাদেরও গুনতে হচ্ছে বাড়তি দাম। গত বছর যে পোশাক দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, এবার তার দাম উঠেছে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা।
বিক্রেতারা বলেন, কাপড়, রং, সুতাসহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই পোশাকের দাম বাড়াতে হয়েছে।
যুদ্ধ, ডলার সংকট আর মূদ্রাস্ফিতির প্রভাব পড়েছে ঈদ পোশাকের বাজারেও। ভিড়-ধাক্কা এড়াতে যারা রমজানের শুরুতে ঈদের বাজার করতে এসেছেন, পোশাকের দাম শুনে তাদের ঠিকই ধাক্কা খেতে হয়েছে।
নিউমার্কেট আর গাউসিয়ায় ঈদের বাজার করতে এসে, পোশাকের দাম শুনে অনেকেই বলেন বাজেট ফেল।
ক্রেতারা জানান, সবকিছুরই দাম বেড়ে গেছে। তাই আগের মতো কেনাকাটা করা যাচ্ছে না। বাজেট ফেল। প্রতিবারের চেয়ে এবার একটু বাজেটটা বেশিই বাড়াতে হয়েছে।
বিক্রেতারা জানান, পাইকারিতে সব ধরনের পোশাকের দামই বাড়তি। কাপড়, সুতা, রংসহ সব উকরণের দাম বাড়ায়, মান ভেদে প্রতিটি পোশাক গতবছরের চেয়ে ৫০০ থেকে দেড় হাজার টাকা বেশি দামে কিনতে হয়েছে।
আনস্টিচ আর থান কাপড়েও দাম গজ প্রতি ২০-১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
গাউছিয়া মার্কেটে পর্যাপ্ত শাড়ির কালেকশন থাকলেও, দাম নিয়ে রয়েছে ক্রেতাদের অসন্তোষ।
অতিরিক্ত দামের কারণে ক্রেতা সংকটের শঙ্কা থাকলেও লোকসান গুনতে হবে না বলেই আশা নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতি নেতাদের।
ঢাকা নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশ্বে ডলারের উচ্চমূল্য হয়েছে, আমাদের দেশেও এর প্রভাব পড়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের বেশি দামে মালামাল ক্রয় করতে হচ্ছে। তাই দাম বেশি পড়ছে।
বেতন বোনাস হলে ঈদ বাজারে ক্রেতা সমাগম বাড়াবে বলে আশা বিক্রেতাদের।