সহকর্মীর গুলিতে ঝাঁঝরা

কাঁদছে নিহত কনস্টেবলের দুই বছরের শিশু

আরটিভি নিউজ

সোমবার, ১০ জুন ২০২৪ , ১০:১৪ পিএম


কাঁদছে নিহত কনস্টেবলের দুই বছরের শিশু

রাজধানীর বারিধারার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হকের গ্রামের বাড়িতে চলছে মাতম। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা। পাগলপ্রায় তার স্ত্রী। বাবা বাবা বলে কাঁদছে তার দুই বছরের শিশুপুত্র। বাড়িতে স্বজনদের কান্নার রোল।     

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১০ জুন) সকাল ১০টার দিকে গ্রামের ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মনিরুলের দাফন সম্পন্ন হয়। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে মনিরুলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সকালে নেত্রকোণার আটপাড়ার বিষ্ণুপুরে গিয়ে দেখা যায়, মনিরুলের স্ত্রী তানিয়া আক্তার তন্বী (২৭) দুই বছরের শিশুপুত্র তাকিকে জড়িয়ে ধরে বিলাপ করছেন। শিশুও বারবার বাবা বাবা বলে কাঁদছে। সে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে তার বাবা কেন মারা গেল, কে তাকে হত্যা করল। 

বিজ্ঞাপন

মনিরুলের মা দেলোয়ারা হক ছেলের শোকে কাঁদতে কাঁদতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে বাড়িতে এসে ভিড় করেছেন প্রতিবেশী ও স্বজনরা। বাড়িতে একটা হাহাকার পরিস্থিতি বিরাজ করছে।  

বিষ্ণুপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শামসুল হকের ছেলে মনিরুল। তারা তিন ভাই ও তিন বোন। সবার ছোট মনিরুল।

মনিরুলের স্ত্রী তন্বী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার স্বামীকে যে এভাবে হত্যা করেছে, আমি তার সর্বোচ্চ বিচার দাবি করছি। তার বিচার হলে আমার আত্মা শান্তি পাবে। 

বিজ্ঞাপন

এর আগে রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে নিহত হন পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হক।

মনিরুলের বড় ভাই মাহবুব আলম টিটুও পুলিশের একজন সদস্য। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত।

আমিনুল হক মিঠু বলেন, ২০১৪ সালে নেত্রকোণার আঞ্জুমান সরকারি উচ্চ থেকে এসএসসি পাস করেন মনিরুল। পরে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে চতুর্থ সেমিস্টার পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ২০১৬ সালের শেষের দিকে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন মনিরুল। 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission