সাংবাদিকতায় সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার পুলিৎজার। ‘ফিচার ফটোগ্রাফি’বিভাগে রয়টার্সের পুরো আলোকচিত্র বিভাগ এবার পুলিৎজার জিতেছে। প্রথম বারের মতো এবার এক বাংলাদেশির তিনটি ছবি স্থান পেয়েছে পুলিৎজার পুরস্কারের জন্য। তিনি হচ্ছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রয়টার্সের আলোকচিত্রী মোহাম্মদ পনির হোসেন।
তার আগে আর কোনো বাংলাদেশি পুলিৎজার এ পুরস্কার পাননি।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশা নিয়ে প্রকাশিত ১৬টি ফটো পুলিৎজার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। এসব ছবি তুলেছেন রয়টার্স ফটোগ্রাফি টিমের সাত সদস্য। টিমের অন্যতম সদস্য বাংলাদেশি মোহাম্মদ পনির হোসেন তুলেছেন তিনটি ছবি।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : রোহিঙ্গারা নিঃসন্দেহে জাতিগত নিধনের শিকার: যুক্তরাষ্ট্র
--------------------------------------------------------
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রয়টার্সের এ বিজয়ী দলে রয়েছেন মোহাম্মদ পনির হোসেন, ড্যানিশ সিদ্দিকী, সো জেয়া তুন, দামির সাগোলিজ, আদনান আবিদি, হান্নাহ ম্যাককে ও ক্যাথাল ম্যাকনটন। পুরস্কারের জুরিবোর্ড রয়টার্সের ছবিগুলোকে ‘ব্রেকিং নিউজ’ বিভাগের জন্য মনোনীত করে। কিন্তু পুলিৎজার পুরস্কার বোর্ড একে ফিচার বিভাগে নিয়ে যায়।
পনির বলেন, রোদবৃষ্টি উপেক্ষা করে কাদাপানির মধ্যে নেমে আমাদের ছবি তুলতে হয়েছে। তখন প্রচণ্ড বৃষ্টি নেমেছিল। ছবি তুলতে গিয়ে লেন্সের ভেতরে পানি ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।
তিনি জানান, সেপ্টেম্বরে পুরস্কার দেয়া হবে। তিনি সেখানে যাবেন।
২০১৬ সালের জুলাই থেকে তিনি রয়টার্সের আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করছেন। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলায়। চট্টগ্রামের খাজা আজমেরি হাইস্কুলের ছাত্র পনির হোসেন উচ্চমাধ্যমিক পড়েছেন ঢাকার সিটি কলেজে। পরে বেসরকারি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েশন করে ফিলিপাইনের অ্যাতেনিও ডি ম্যানিলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিজুয়াল জার্নালিজমের ওপর উচ্চশিক্ষা নেন।
পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী একটি মানবিক ছবির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ছবিটিতে দেখা গেছে, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর এক রোহিঙ্গা মা তার ৪০ দিনের শিশুর ঠোঁটে চুমু খেয়ে কাঁদছেন।
আরও পড়ুন :
জেএইচ