• ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
logo

বহুপাক্ষিকতা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ: রুহুল হক এমপি

কামরুজ্জামান হেলাল, যুক্তরাষ্ট্র

  ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৪২

জাতিসংঘে ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এর বার্ষিক সংসদীয় শুনানিতে বহুপাক্ষিকতাবাদকে সমুন্নত রেখে একটি সমবেত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরলেন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল।

বহুপাক্ষিকতার ক্ষেত্রে সৃষ্ট হুমকিসমূহ সংসদীয় জবাব বিষয়টিকে সামনে রেখে ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত হলো আইপিইউ’র বার্ষিক সংসদীয় শুনানি।

এবারের শুনানিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. এ এফ এম রুহুল হক এমপির নেতৃত্বে ডা. মো. আফসারুল আমিন এমপি, মো. আবু জহির এমপি, বেনজীর আহমেদ এমপি এবং আহসান আদেলুর রহমান এমপি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।

সাতটি পর্বে ভাগ করে সংসদীয় শুনানির দুইদিনের এই আলোচনাকে এগিয়ে নেয়া হয়। পর্বগুলো ছিল-

১. ক্রসরোডে বহুপাক্ষিকতা: সামগ্রিক মূল্যায়ন ও উদ্ভূত হুমকিসমূহ।

২. জাতীয় ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিকতা: ভালো রাজনীতির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার।

৩. জাতিসংঘ ও এর বাইরে লিঙ্গসমতা।

৪. বহুপাক্ষিকতাবাদে বিনিয়োগ জাতিসংঘের তহবিল ঘাটতি।

৫. অধিক সাড়াদানে সক্ষম বিশ্ব ব্যবস্থা অভিমুখে: সাধারণ পরিষদকে চাঙ্গাকরণ।

৬. সংঘাত প্রতিরোধ, সংঘাতের অবসান ও শান্তিরক্ষাকে অধিকতর কার্যকর করা।

৭. জনগণের চোখে বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা: গণ-যোগাযোগের প্রভাব।

পর্বগুলোতে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্যগণ বাংলাদেশকে বহুভাষাভাষী, বহু সংস্কৃতির এবং বহুধর্মের একটি দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা বহুপক্ষবাদ এবং বহুভাষিক সংস্কৃতির চর্চা ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকার গৃহীত সময়োপযোগী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের স্বতন্ত্র পরিচয়, ভাষা, সংস্কৃতি, ভূমি ও সম্পদ সংরক্ষণের মাধ্যমে একটি সহমত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি এবং তা বাস্তবায়নের কথাও উঠে আসে।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের দলনেতা ডা. এ এফ এম রুহুল হক এমপি ‘ক্রসরোডে বহুপাক্ষিকতাবাদ: সামগ্রিক মূল্যায়ন ও উদ্ভূত হুমকিসমূহ’ শীর্ষক পর্বে বক্তব্য প্রদানকালে বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি নিয়মভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার প্রবক্তা। এই ব্যবস্থা জাতিসমূহের সার্বভৌমিক সমতাকে সবসময়ই সমুন্নত রাখে এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ সমর্থন করে না। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি- ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’ থেকে বাংলাদেশ এই বহুপাক্ষিক দৃষ্টিভঙ্গিতে অনুপ্রাণিত হয়েছে। বহুপাক্ষিতা আমাদের পররাষ্ট্রনীতির সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ভ।’

জাতিসংঘসহ বিদ্যমান অন্যান্য বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার কারণেই সংঘাত, দ্বন্দ্ব ও যুদ্ধের বিভীষিকা পেরিয়ে বিশ্বে শান্তি, সহযোগিতা, মানবিক মূল্যবোধ ও স্বাধীনতা সমুন্নত রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন রুহুল হক। তিনি বহুপাক্ষিকতার সফলতার ক্ষেত্রে বেশ কিছু হুমকির কথা উল্লেখ করেন। এগুলো হলো: আদর্শ বিচ্যুত রাজনীতি, রাজনৈতিক তহবিলের ঘাটতি, ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা, এসডিজি ও শান্তিরক্ষাসহ প্রধান বহুপাক্ষিক এজেন্ডার বাস্তবায়নে সম্পদের ঘাটতি এবং অভিবাসনের বৈশ্বিক কম্প্যাক্ট ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়নে সহায়তার অভাব।

অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও অরক্ষিত দেশ, জাতি ও জনগোষ্ঠীসমূহকে সুরক্ষিত করতে বহুপাক্ষিকতাবাদের এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই বিশ্বসভাকে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বাংলাদেশ ডেলিগেশনের দলনেতা ডা. এ এফ এম রুহুল হক এমপি।

আইপিইউ’র উদ্বোধনী সেশনে কি-নোট স্পিচ প্রদান করেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ। এছাড়া উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন ৭৩তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মিজ মারিয়া ফার্নান্দে এসপিনোসা গার্সেজ ও আইপিইউ’র প্রেসিডেন্ট মিজ্ গ্যাব্রিয়েলা কুইভাস ব্যারন।

আইপিইউ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের মধ্যে আরও ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান।

এ/পি

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২৩ ডিসেম্বর)
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বিধান জারি
দুই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক থেকে ১০৮০০ কোটি টাকা ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ
ডিসেম্বরের ২১ দিনে এক টাকাও রেমিট্যান্স আসেনি যে ১০ ব্যাংকে