বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি: পরিবারের কেউ বেঁচে রইল না
রাজধানীর সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় পরিবারের একমাত্র সদস্য হিসেবে বেঁচে ছিলেন শাহজালাল চোকদার। পরিবারের ৭ সদস্যের মধ্যে ৬ জনই মারা যান ওই দুর্ঘটনায়। এবার পরিবারের বাকি সদস্যদের পথ ধরে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনিও।
সোমবার রাত ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গেল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া দশটার দিকে চাচাতো বোনের বিয়ে উপলক্ষে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে মালকান্দির উদ্দেশে রওনা দেন কামরাঙ্গীরচরের শাহজালাল। ছোট্ট ডিঙি নৌকায় করে পার হওয়ার সময় সদরঘাটের কাছাকাছি এসে সুরভি-৭ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় তাদের নৌকাটি ডুবে যায়। এতে নিখোঁজ হয় তার স্ত্রী সাহিদা বেগম (৩২), দুই মেয়ে মিম (৮) ও মাহী (৬), শাহজালালের ভাগনি জামসিদা বেগম (২০), ভাগনি জামাই দেলোয়ার হোসেন (২৮) ও তাদের ছয় মাস বয়সী সন্তান জুনায়েদ।
ওই ঘটনায় লঞ্চের পাখার আঘাতে দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শাহজালালের। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত রোববার পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই কাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গত শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুরে উদ্ধার জামসেদা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর গত শনিবার (৯ মার্চ) বাদামতলী ঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার হয় জামসেদার স্বামী দেলোয়ার হোসেন ও তাদের সাত মাস বয়সী ছেলে জোনায়েদ, শাহজালালের দুই সন্তান মিম (৮) ও মাহিরের (৬) মরদেহ। রোববার শাহজালালের স্ত্রী শাহিদা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন
- চুড়িহাট্টা ট্রাজেডি: ছোটবেলা থেকে মরণ পর্যন্ত একসঙ্গে দোলা-বৃষ্টি
- হাসপাতালেই প্রাইভেট প্র্যাকটিসের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আর/এসএস
মন্তব্য করুন