ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নয়: হাইকোর্ট
বুড়িগঙ্গা দূষণ রোধে আদালতের রায় ও আদেশ বাস্তবায়ন না করা এবং অসত্য তথ্য দিয়ে আদালতের স্বাভাবিক কাজে বিঘ্ন ঘটানোর কারণে ওয়াসার এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত তার রুলে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। এবং আগামি দুই সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। ওয়াসার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী উম্মে সালমা। আর পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করিম।
হাইকোর্টের রুল জারির পর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন: ‘২০১০ সালে বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ বন্ধের জন্য একটি রিট করেছিলাম। ২০১১ সালে রায় দিয়ে আদালত ছয় মাসের মধ্যে বুড়িগঙ্গার ভেতরে যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিসচার্জ লাইনগুলো(শিল্প বর্জ্য নিঃস্বরণ লাইন) আছে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বলেছিলো। পরবর্তীতে ওয়াসা প্রতিবেদন দিয়ে বলে তাদের কোনো লাইন বুড়িগঙ্গায় নাই।
কিন্তু পরে বিআইডব্লিউটিএ প্রতিবেদন দিয়ে বললো বুড়িগঙ্গায় ৬৮ টি লাইন আছে। এরমধ্যে ওয়াসার আছে ৫৮টি। এছাড়া ওয়াসা সিদ্ধেশ্বরী, মোহাম্মদপুর ও কলাবাগানে তাদের চলা নিয়মিত কাজের ছবি আদালতকে দেখি বলেছে বুড়িগঙ্গা দূষণ বন্ধের পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।
তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আদালতের রায় ও আদেশ বাস্তবায়ন না করা এবং অসত্য তথ্য দেয়ায় হাইকোর্ট ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন।’
এসজে
মন্তব্য করুন