বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে সরকার (ভিডিও)
আর মাত্র একদিন পরই শোকাবহ-রক্তাক্ত ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার হলেও আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় খুনি এখনো বিদেশে পলাতক। একজন মৃত। বাকিদের মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায় ও রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে। তাদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াকে ‘জটিল ও দীর্ঘ’ বলে জানালেন আইনমন্ত্রী। বাকি চারজনের অবস্থান নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যদিও সবাইকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টার কথা বলছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যার আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে ১৯৭৬ সালে বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত করা হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে তাকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিলে পালিয়ে যায় কানাডায়। সেই থেকে উত্তর আমেরিকার দেশটিতেই বাস করছেন নূর চৌধুরী।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামির বিচারের রায় কার্যকর করতে তাকে ফিরিয়ে আনতে কানাডা সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে, সে দেশের নিয়মানুযায়ী, তাকে ফেরাতে আইনের দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে চলছে কূটনৈতিক তৎপরতা।
---------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : কুরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ হয়েছে: মেয়র আতিক
---------------------------------------------------------------------
অসমর্থিত সূত্র বলছে, খুনি রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন জার্মানিতে, শরিফুল হক ডালিম আফ্রিকায় এবং আব্দুর রশীদ আছে পাকিস্তান বা লিবিয়ায়। এছাড়া, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল মাজেদের অবস্থান জানা যায়নি। যদিও এদের কারো অবস্থানের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পলাতক ছয় আসামির মধ্যে ২০০১ বা ২০০২ সালে জিম্বাবুয়েতে মৃত্যু হয়েছে আজিজ পাশার। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বিচারের পথ বন্ধ করতে জারি করা হয় ‘ইমডেমনিটি অ্যাক্ট’। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে তা বাতিল করে শুরু হয় বিচারকাজ। বিচারের রায়ে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড হলে, এ পর্যন্ত পাঁচজনের ক্ষেত্রে তা কার্যকর করা গেছে।
পি
মন্তব্য করুন